আইটিডিসির এই হোটেলেই রাখা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বহু নেতাকে। ছবি: হোটেলের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।
তিন মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি জম্মু কাশ্মীরের বহু নেতা। কবে তাঁরা মুক্তি পাবেন তা-ও এখনও নিশ্চিত নয়। অথচ তাঁদের হোটেলে রাখার খরচ বাড়ছে চড়চড় করে। এবার তাঁদের অন্যত্র সরানোর বন্দোবস্ত করল কেন্দ্র।
ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, পিপলস কনফারেন্সের ৩১জন নেতাদের এত দিন রাখা হয়েছিল ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম ডেভলপমেন্টে কর্পোরেশন (আইটিডিসি)-এ হোটেলে। জম্মু কাশ্মীরের প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার তাদের অন্যত্র সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আপাতত দু’টি জায়গার কথা ভাবা হয়েছে। এম এ রোডের কাছে এমএলএ হস্টেল অথবা ওই এলাকার কোনও হোটেলে ঠাঁই হতে পারে এই নেতাদের।
কিন্তু কেন হঠাৎ জায়গাবদলের আয়োজন? সরকারি কর্তাদের দাবি, আইটিডিসি হোটেলের কাছেই শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার। সেখানে গত তিন মাসে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাচ্ছে না। কারণ, ওই হোটেলটিকেই সাব-জেল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। আইটিডিসি সূত্রে খবর, গত তিনমাসে বন্দিদের থাকা খাওয়ার জন্যে ইতিমধ্যেই ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার বিল পাঠানো হয়েছে। এই আকাশছোঁয়া বিলেই মাথায় হাত পড়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন:সরোবরের জলে ভেসে উঠছে মরা কচ্ছপ-মাছ! ভোটের জন্য সবাই চুপ, বলছেন পরিবেশবিদরা
আরও পড়ুন:সোপোরের পর শ্রীনগর, লালচকে গ্রেনেড হামলা জঙ্গিদের, হত ১, জখম অন্তত ১৫
আইটিডিসির হোটেলেই এখন রয়েছেন পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজিদ লোন, পিডিপির নইম আখতার, প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জলরা। দেখা যাচ্ছে বন্দিপিছু প্রতিদিন ৫০০০ টাকা করে বিল করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরকারের বরাদ্দ মাত্র ৮০০ টাকা। সরকারি সূত্রে খবর, একটি ঘরে দু’জন বন্দিকে রাখা হয়েছে। তাঁরা মূলত নিরামিষ খাবার পান। সপ্তাহে একদিন একটুকরো মুরগির মাংস দেওয়া হয়। তাতেই এই পরিমাণ বিল কী ভাবে হয়, তা ভেবে পাচ্ছে না প্রশাসন।
জম্মু কাশ্মীরের দুইবারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাও এখনও বন্দি রয়েছেন। তবে মুফতিকে চশমা শাহি এলাকার এক সরকারি গেস্ট হাউসে এবং ওমর আবদুল্লাকে নেহরু গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে। অন্য দিকে ফারুক আবদুল্লা জনসুরক্ষা আইনে নিজের বাড়িতেই বন্দি।তাঁদের এখন অন্যত্র সরানো হবে না বলেই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।