প্রখর তপন তাপে। নয়াদিল্লিতে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
তীব্র তাপপ্রবাহে দেশ জুড়ে গত তিন দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৮ জন। শুধু তেলঙ্গানায় মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের। অন্য দিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ৯৫ জন। ওড়িশায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩। দেশের আরও নানা প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাপপ্রবাহ চলছে পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, পঞ্জাব, হরিয়ানাতেও। রাজস্থান পুড়ছে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মরুরাজ্যের পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানাতে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খাঁ খাঁ রোদে আক্রান্ত ওড়িশাও।
গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আকাশের দিকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের আবহাওয়া দফতরগুলি কোনও ভরসার কথা শোনাতে পারছে না। দেশ জুড়ে হাসপাতালগুলিতেও ক্রমশ বাড়ছে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়। যথেষ্ট সুরক্ষা ছাড়া দিনের বেলায় অর্থাৎ বেলা ১২টা থেকে তিনটে পর্যন্ত বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে সর্তকতা জারি করেছে দিল্লি-সহ বেশ কিছু রাজ্যের প্রশাসন।
রাজধানীর আবহাওয়া অফিস সূত্রের খবর, আরও অন্তত দু’দিন চলবে এই তাপপ্রবাহ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি নির্দেশে কার্যত পথে নেমে প্রচার চালানো হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। জায়গায় জায়গায় শিবির করে গরম থেকে বাঁচার উপায় বলা হচ্ছে রাজ্যবাসীকে।
গত বছর এপ্রিল মাস থেকেই গরমে নাজেহাল হয়েছিল দেশবাসী। এ বছর এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছিল। তবে মে মাসের তাপপ্রবাহ বেশ কষ্ট দিচ্ছে। চলতি বছর তাপমাত্রার সঙ্গে জলীয় বাষ্প পরিমণ্ডলে ঢুকে হাঁসফাঁস অবস্থাটা বাড়িয়েছে, জানাচ্ছেন বেশ কিছু রাজ্যের আবহবিদেরা।