weather

Weather: উষ্ণায়ন ও বর্ষণে দাগ রাখল ২০২১

মৌসম ভবনের হিসেব, দক্ষিণ ভারতে স্বাভাবিকের থেকে ১৭১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা গত ১২১ বছরের সর্বোচ্চ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

উষ্ণায়ন ও জলবায়ু বদলের জেরে বিপর্যয়ের কথা বারে বারেই বলে চলেছেন পরিবেশবিদ এবং আবহবিজ্ঞানীরা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ১৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে মৌসম ভবন ২০২১ সালের দেশের যে-জলবায়ু রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতেও সেই বিপর্যয়ের জোরালো প্রমাণ রয়েছে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা।

Advertisement

মৌসম ভবন জানিয়েছে, উষ্ণতার নিরিখে গত ১২১ বছরের মধ্যে ২০২১ রয়েছে পঞ্চম স্থানে। গত বছর যে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি ছিল, তার জন্য গ্রীষ্ম দায়ী নয়, তার মূলে ছিল শীত এবং বর্ষা-পরবর্তী সময়ের তাপমাত্রা। আবার গত বছরই উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর জেরে রেকর্ড গড়েছে বর্ষণও। মৌসম ভবনের হিসেব, দক্ষিণ ভারতে স্বাভাবিকের থেকে ১৭১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা গত ১২১ বছরের সর্বোচ্চ। এই অতিবৃষ্টিতে বন্যা হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে।

মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, এই পর্যায়ে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি থাকার ফলেই বার্ষিক গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে উঠেছে। তবে ২০১৬ সালে উষ্ণায়নের পরিস্থিতি আরও তীব্র ছিল। উষ্ণায়নের নিরিখে ২০২১ সালের আগে রয়েছে যথাক্রমে ২০১৬, ২০০৯, ২০১৭ এবং ২০১০। গত বছর বঙ্গোপসাগরে তিনটি এবং আরব সাগরে দু’টি ঘূর্ণিঝড় জন্ম নিয়েছিল। সেগুলির জেরেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত বছর শুধু অতিবৃষ্টির জেরে দেশে ৭৫০ জন মারা গিয়েছেন। ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন আরও ৭৮০ জন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণহানিতে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ঝড়বৃষ্টি, শৈত্যপ্রবাহ, বজ্রপাত, ধস ইত্যাদিতে সেখানে এক বছরে ৩৪০ জন মারা গিয়েছেন।

Advertisement

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এ দিন দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং লেহতে চারটি রেডারের উদ্বোধন করা হয়। উড়ান সংক্রান্ত আবহাওয়া, জলবায়ু বদলের বিপদ সম্পর্কিত তথ্য, আবহাওয়া সম্পর্কে নাগরিকদের অভিজ্ঞতা গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে চারটি পৃথক ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। কর্মকুশলতার জন্য পুরস্কৃত করা হয় আবহবিজ্ঞানী ও দফতরের কর্মীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement