প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।
বাড়ি ছিলেন না স্ত্রী। তাই রান্না করার কেউ নেই। সে জন্য মাঝরাতে গার্লস হস্টেলের এক জন আবাসিককে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন অধ্যাপক। তাঁর খাবার বানিয়ে দেওয়ার জন্য। ওই অধ্যাপক আবার গার্লস হস্টেলের ওয়ার্ডেনও। এই ঘটনা নিয়েই হইচই ছড়িয়েছে উত্তরাখণ্ডের জিবি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে।
অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক ও হস্টেল ওয়ার্ডেন প্রথমে ওই ছাত্রীকে মেসেজ করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তার পর ফোন করে তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন রান্না করার জন্য। কিন্তু মেয়েটি ফোন কেটে দিলেও বারবার ওয়ার্ডেন ফোন করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী। এর পর ছাত্রী অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যের কাছে। অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে অধ্যাপকের পাঠানো মেসেজটিও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ার্ডেনের পদ থেকে সরিয়ে দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ।
বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই অসন্তোষ ছড়ায় ছাত্রীদের মধ্যে। তখন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল বেবি রানি মৌর্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি দেখতে বলেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিয়ের মণ্ডপে ১১ লক্ষ টাকা পণ ফিরিয়ে দিলেন বিএসএফ কনস্টেবল
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ছ’বছরের ভিক্ষুক শিশুর শ্লীলতাহানি, ধৃত ৬০ বছরের ব্যক্তি