প্রতীকী ছবি
ইউজিসি-র নির্দেশিকা ছিল — করোনা-পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষা না-হলেও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের শেষ সিমেস্টারটি দিতেই হবে। সেই নির্দেশিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। খতিয়ে দেখতে বলেছেন শিক্ষা নির্ঘণ্টও। বুধবার টুইটে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
পড়ুয়াদের একাংশের ধারণা, এর মাধ্যমে আসলে ওই পরীক্ষা বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রী। পিছিয়ে যেতে পারে ক্লাসে ফেরার সময়ও। তাই এ বার দাবি উঠছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষাও বাতিল কিংবা পিছিয়ে দেওয়া হোক।
আগে জানানো হয়েছিল, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বাকি পরীক্ষা দিতে না-হলেও, শেষ সিমেস্টারে বসতেই হবে চূড়ান্ত বর্ষের পডুয়াদের। এ-ও বলা হয়েছিল, যে যে রাজ্যে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে, সেখানে জুলাইয়ে ওই পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করা যেতে পারে। কিন্তু লকডাউন ওঠার পর থেকে করোনা-আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে থাকায় প্রশ্ন দানা বাঁধতে থাকে সিমেস্টার ঘিরে। পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবক-সহ অনেকেই অনুরোধ করেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য। এ দিন মন্ত্রীর এই টুইটে তাই আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্ব ভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি এই পরিস্থিতিতে হবে কী ভাবে? যেমন, ২৬ জুলাই কী করে নিটে বসবেন কমপক্ষে ১৬ লক্ষ পড়ুয়া? সিবিএসই-র দশম (শুধু উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে) এবং দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা রুখতেও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ দাবি তুলেছেন, পরিস্থিতি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে আপাতত বন্ধ রাখা হোক অনলাইন পরীক্ষাও। এ সমস্ত বিষয়ে মন্ত্রক অবশ্য এখনও কিছু বলেনি।
এ দিকে, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এ দিন ২০২০-২১ সালের জন্য এনসিইআরটি-র নতুন পথ নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।