ছবি: সংগৃহীত
ভারত থেকে যাওয়া বেশ কয়েক জন যাত্রীর দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়ার পরে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় বিমান নামা নিষিদ্ধ করে দিল হংকং।
২৩ মার্চের পরে সমস্ত ধরনের আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ৬ মে থেকে ভারত সরকার ‘বন্দে ভারত’ উড়ান প্রকল্প চালু করে। ঠিক হয়, উড়ান না-পেয়ে যে সব ভারতীয় বিদেশে আটকে রয়েছেন, তাঁদের এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এর জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে বিমান ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে।
এক সময়ে ‘বন্দে ভারত’ প্রকল্পের বিমান ভারত থেকে খালি উড়ে গিয়ে যাত্রীদের নিয়ে ফিরে আসছিল বলে আর্থিক ভাবে লোকসানও হচ্ছিল। তখন ঠিক হয়, ভারত থেকে যাঁরা বিদেশে যেতে চাইছেন, তাঁদের কাছে বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র ও অনুমতি থাকলে তাঁরাও ওই উড়ানে বিদেশে যেতে পারবেন। ওই প্রকল্পে হংকং-এর সঙ্গেও উড়ান যোগাযোগ শুরু হয়। ভারত থেকে অনেকেই জরুরি কাজে হংকং যেতে শুরু করেন।
জুলাই মাসে হংকং সরকার জানিয়ে দেয়, সে দেশে যেতে গেলে ভারত থেকে উড়ান ধরার ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। সংশ্লিষ্ট যাত্রীর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তিনি হংকং-এর উড়ান ধরতে পারবেন। ভারত থেকে হংকং-এ পৌঁছনোর পরে সেখানকার বিমানবন্দরে আরও এক বার কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছিল। অভিযোগ, এমনই এক পরীক্ষায় সম্প্রতি ভারত থেকে যাওয়া বেশ কিছু যাত্রীর দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। সেই কারণে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ভারত থেকে সমস্ত উড়ান নিষিদ্ধ করেছে তারা। দিল্লি থেকে মঙ্গলবার যে হংকং-এর উড়ান ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে।