পুলিশি জেরার মুখে হানিপ্রীত। ছবি: পিটিআই।
বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা জেরা। পরে অসুস্থতা অনুভব করায় হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপ। এবং ডিনারে ডাল-রুটি। গ্রেফতারির পর লক আপে প্রথম রাতটা এই ভাবেই কাটল হানিপ্রীত ইনসানের। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
৩৮ দিন ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পর মঙ্গলবার হরিয়ানা-পঞ্জাব সীমানায় জিরাকপুরে হানিপ্রীতকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশ। এর পর তাঁকে পঞ্চকুলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানেই রাত তিনটে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। পুলিশেরই আর একটি সূত্র বলছে তিনটে পর্যন্ত নয়, জেরা হয়েছে রাত সওয়া ১টা পর্যন্ত। জেরার মাঝপথে বুকে ব্যথা অনুভব করায় হানিপ্রীতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর ইসিজি করানো হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে রক্তচাপও। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, হানিপ্রীতের মেডিক্যাল রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি। তাঁর আগে অবশ্য মানসিক অবসাদের কথাও পুলিশকে জানান ‘পাপা কি পরি’।
আরও পড়ুন
‘বাবার সঙ্গে আমার পবিত্র সম্পর্ক, নোংরা বলবেন না’
মেয়ে? ওদের আমি বিছানায় দেখেছি, বলছেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী
পালিতকন্যার সঙ্গেই জেলে রাত্রিবাস করতে চাইলেন রাম রহিম!
জেরার মাঝপথে বুকে ব্যথা অনুভব করায় হানিপ্রীতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার এ এস চাওলা এবং ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) মমতা সিংহ ছাড়াও সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর প্রধান মুকেশ মলহোত্রও হানিপ্রীতকে জেরা করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার গোটা পর্বটাই ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে।
হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন তিনি। এ ছাড়া, জোড়া ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাম রহিমের সাজা ঘোষণার দিন পঞ্চকুলা, সিরসা-সহ হরিয়ানা ও পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ানো এবং দেশদ্রোহের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রোহতকের সুনারিয়া জেল চত্বর ছাড়ার পর কেন তিনি পুলিশের সামনে আসেননি সে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। পঞ্চকুলা, সিরসা-সহ হরিয়ানা ও পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ানোর পিছনে কার হাত ছিল বা তাতে কত টাকা ঢালা হয়েছে সে কথাও জানতে চায় পুলিশ। ডেরার ৪৫ সদস্যের কমিটির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় হানিপ্রীতকে।