ঐতিহাসিক রায়ে খুশি এলজিবিটি গোষ্ঠীর সদস্যেরা। ফাইল চিত্র।
ভারতবর্ষে সমকামিতা অপরাধ নয়। একমত হয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়ের বিরুদ্ধে গেল এই রায়। একই সঙ্গে ব্রিটিশ আমলের পুরনো আইনটিকে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। রায় শুনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের মন্তব্য, ‘‘পুরনো ধ্যানধারণাকে বিদায় জানিয়ে সমস্ত নাগরিকদের সমান অধিকার আমাদের দিতে হবে।’’ বিচারপতি দীপক মিশ্রের সঙ্গে সহমত পোষণ করে একই বক্তব্য রেখেছেন অন্য চার বিচারপতিও।
একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘ব্যক্তিগত পছন্দ স্বাধীনতার অন্যতম শর্ত। ভারতীয় সংবিধানে এলজিবিটি গোষ্ঠীর সদস্যরা বাকিদের মত একই অধিকার পাওয়ার যোগ্য।’’
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার বিরুদ্ধে প্রথম আপত্তি জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নাজ ফাউন্ডেশন। ২০০১ সালে দিল্লি হাইকোর্টে ওই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে তারা। ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দেয়, সম্মতির ভিত্তিতে দুই প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ক অপরাধ নয়। তাঁদের যৌন সম্পর্ক এ ক্ষেত্রে বিবেচনাযোগ্য বিষয়ই নয়। কারণ, যৌন পছন্দ যা-ই হোক না কেন, দুই প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্কে আপত্তি জানালে ব্যক্তিপরিসরের অধিকারকে লঙ্ঘন করা হয়।
আরও পড়ুন: সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ এই দেশগুলিতে
এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যান একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠন। ২০১৩ সালে দিল্লি হাইকোর্টের রায় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ৩৭৭ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা আছে। সমকামিতাকে অপরাধের তকমামুক্ত করতে গেলে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাফাল ভাল, সব মন্ত্রীকে ডেকে বোঝালেন মোদী
নতুন রিট আবেদন পেশ করে ফের আইনি লড়াই শুরু হয়। ২০১৩ সালের রায় বিবেচনা না করে ৩৭৭ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা ফের সামগ্রিক ভাবে বিচার করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: জলমগ্ন স্কুলবাসে আটক খুদে পড়ুয়ারা, তারপর? দেখুন রুদ্ধশ্বাস ভিডিয়ো
এর আগের শুনানিতে ৩৭৭ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার সুপ্রিম কোর্টের উপরেই ছেড়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)