কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাস রুখতে জেলা স্তরে পুলিশি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার উপরে জোর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আজ থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে দু’দিনের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন। দু’দিনের ওই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ছ’শো শীর্ষ পুলিশ কর্তা। প্রথম দিনের বৈঠকে মূলত সন্ত্রাসবাদী হামলা রোখা, মৌলবাদী প্রচার ঠেকানো, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সন্ত্রাস ও ড্রাগ কেনাবেচা রোখা, প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শত্রু ড্রোনকে রোখা— এই বিষয়গুলি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘বৈঠকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মৌলবাদী প্রচার ঠেকানো ও সন্ত্রাসবাদকে রোখার প্রশ্নে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কেরল-সহ দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে যে ভাবে আইএসের মৌলবাদী প্রচারে যুবকেরা প্রভাবিত হচ্ছেন, তা নিয়ে বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।’’
এ ছাড়া, সম্প্রতি বিজেপির সাসপেন্ড হওয়া মুখপাত্র নূপুর শর্মার বয়ানের প্রেক্ষিতে রাজস্থানের উদয়পুরে মৌলবাদী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে এক দর্জিকে দুই যুবক যে ভাবে হত্যা করেছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এই ধরনের ঘটনা রোখার প্রশ্নে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সন্ত্রাস, মানবপাচার, ড্রাগ কেনাবেচার ক্ষেত্রে ডার্ক ওয়েবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কী ভাবে ব্যবহার হচ্ছে এবং তা কী ভাবে রোখা সম্ভব, কথা হয়েছে তা নিয়েও।
আজকের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সন্ত্রাস রুখতে মূলত জেলাভিত্তিক পুলিশি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উপরে জোর দিয়েছেন। জেলাভিত্তিক পুলিশের যে তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে, তা আরও কার্যকর করে তোলার উপরে মূলত জোর দেন মন্ত্রী। শাহ বলেন, যে জেলাগুলি ‘টেরর হটস্পট’ বা সন্ত্রাসের আখড়া হিসাবে সক্রিয় রয়েছে, সেখানে জেলা পুলিশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। সেই হটস্পটকে চিহ্নিত করে সন্ত্রাসে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।