ফাইল চিত্র।
ইদানীং একাধিক ইস্যুতে জোট শরিক বিজেপির সঙ্গে জেডিইউ-র মতভেদ প্রকাশ্যে এসেছে। ইতিহাস বদল নিয়ে আগেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন নীতীশ কুমার। এ নিয়ে আবারও সরব হল জেডিইউ। পাঠ্যসূচি থেকে জরুরি অবস্থা, গুজরাত দাঙ্গার মতো বিষয় ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন জেডিইউ-র জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কেসি ত্যাগী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ -এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী দিনের পাঠ্যসূচি থেকে জরুরি অবস্থা, গুজরাত দাঙ্গার মতো বিষয়কে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ত্যাগী বলেন, ‘‘ইতিহাস ইতিহাসই হয়। তাকে বদলানো যায় না বা পুনরায় লেখা যায় না। যে ঘটনাই ঘটুক না কেন, তা ভাল হোক কিংবা খারাপ,বদলানো যায় না। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আগেই এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। উনি বলেছেন, ইতিহাস পুনরায় লেখা যায় না।’’
ত্যাগীর কথায়, ‘‘ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রজন্মের জানা দরকার। জরুরি অবস্থাকে পাঠ্যসূচি থেকে ছেঁটে ফেলার কী যুক্তি রয়েছে? ইতিহাসের পড়ুয়াদের এটা সম্পর্কে জানা জরুরি।’’ কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দিয়ে কোনও উদ্দেশ্যেই সাধন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্য দিকে, কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ইতিহাসবিদরা মুঘলদের উপরেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্যদের রাজত্বকালকে উপেক্ষা করেছেন। ইতিহাস বইগুলি খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। শাহের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেনি নীতীশের দল। তখনই তিনি শাহের এই ভাবনার বিরোধিতা করেছিলেন। আবারও ইতিহাস-বদলের ইস্যুতে যে ভাবে জেডিইউ সরব হল, তাতে এনডিএ শিবিরে ফাটল চওড়া হওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।