—ফাইল চিত্র।
ভারতের জাতীয়তাবোধের সঙ্গে কোনও ধর্মের যোগসূত্র নেই। বরং ধর্মীয় চেতনার ঊর্ধ্বে উঠেই জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসার ঘটেছিল। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ এবং এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত ‘অনিরুদ্ধ রায় স্মারক বক্তৃতা’-য় এটাই ছিল বক্তা ইতিহাসবিদ রত্নাবলী চট্টোপাধ্যায়ের মূল বক্তব্য। তিনি বলেন, “ভারতের জাতীয়তাবোধের সঙ্গে ধর্মীয় চেতনাকে যুক্ত করা অনৈতিহাসিক।” বর্তমানে যে ভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটছে, তারও বিরোধিতা উঠে এসেছে বক্তার গলায়।
বাবরি মসজিদ মামলার সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হলেও রাম জন্মভূমি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিতর্ক বিদ্যমান। সেই সূত্রেই রত্নাবলীদেবী জানান, রাম যে ঐতিহাসিক চরিত্র বা অযোধ্যা তাঁর জন্মভূমি এমন কথা কোনও ঐতিহাসিক তথ্যসূত্রে উল্লেখিত নেই। এমনকি, মন্দির ভেঙে মসজ়িদ তৈরির ঘটনারও উল্লেখ মেলে না। কাল্পনিক বা মনগড়া কাহিনীকে কী ভাবে ইতিহাস বলে উপস্থাপিত করা হচ্ছে এবং দেশের শাসক দলের তার প্রতি যে প্রশ্রয় তাও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন তিনি।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক অনিরুদ্ধ রায়ের প্রয়াণের পর এই স্মারক বক্তৃতা শুরু হয়েছে। অধ্যাপক রায় তাঁর জীবনভর যে ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের চর্চা করে গিয়েছেন তা বিস্তারিত বয়ানে তুলে ধরেন সংসদের সভাপতি অধ্যাপক আশীষকুমার দাস।