jitan ram manjhi

‘জেডিইউতে যোগ না দিলে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন নীতীশ’! বিজেপির সঙ্গী হচ্ছেন জিতনরাম

গত ফেব্রুয়ারিতে নীতীশের জেডিইউ ছেড়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা রাষ্ট্রীয় লোক জনতা দল গড়েছিলেন। এ বার নীতীশের সঙ্গ ছাড়ল দলিত নেতা জিতনরামের ‘হাম’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

পটনা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ২২:৫৬
Share:

নীতীশ কুমার এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি। ফাইল চিত্র।

নীতীশ কুমারের হুমকির কারমেই তাঁকে ‘মহাগঠবন্ধন’ ছাড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা’ (হাম)-র প্রধান জিতনরাম মাঁঝি। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘নীতীশ আমাকে স্পষ্ট বলেছিলেন, হয় তাঁর দল জেডিইউর সঙ্গে ‘হাম’-কে মিশে যেতে হবে, অথবা জোট ছাড়তে হবে। আমরা নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

Advertisement

আগামী ২৩ জুন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠক হবে পটনায়। তার আগে ভাঙন ধরল বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ জোটেই। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিহার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিতনরাম-পুত্র সন্তোষকুমার সুমন। জিতনরাম বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, আবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরতে পারেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘আট বছর আগে নীতীশ আমাকে অপমান করেছিল। এ বার তার পুনরাবৃত্তি হল।

গত ফেব্রুয়ারিতে নীতীশের জেডিইউ ছেড়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা রাষ্ট্রীয় লোক জনতা দল গড়েছিলেন। এ বার নীতীশের সঙ্গ ছাড়ল দলিত নেতা জিতনরামের ‘হাম’। প্রসঙ্গত, একদা জেডি়ইউ নেতা জিতনরাম ছিলেন নীতীশের ঘনিষ্ঠ অনুগামী। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার পর এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল নীতীশের দল জেডি(ইউ)।

Advertisement

২০১৪-এর লোকসভা ভোটে একলা লড়ে বিহারে জেডি(ইউ)-র ভরাডুবির পরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী করেন তাঁর অনুগামী দলিত নেতা জিতনরামকে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। জিতনরামকে সরিয়ে (যে ঘটনাকে মঙ্গলবার জিতন ‘আট বছর আগের অপমান’ বলেছেন) ফের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। জিতনরাম জেডি(ইউ) ছেড়ে ‘হাম’ গড়ে এনডিএ জোটে শামিল হন। ২০১৫-র বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির সমর্থনে বিধায়ক হলেও ‘হাম’-এর অন্য কোনও প্রার্থী জিততে পারেননি। অন্য দিকে, আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ।

২০১৭ সালে নীতীশ ফের বিজেপির হাত ধরার পরে এনডিএ জোটের অন্দরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন জিতনরাম। নীতীশ তাঁকে মন্ত্রী করেননি। এর পরে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস, আরজেডি, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএসএলপি)-র মহাগঠবন্ধনে শামিল হন তিনি। কিন্তু মহাজোটের শরিক হিসেবে তিনটি আসনে লড়ে একটিতেও হাম জিততে পারেনি। জিতনরাম নিজেও গয়া লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন। এর পর ২০২০-র বিহার বিধানসভা ভোটের আগে এনডিএতে ফিরে যান জিতনরাম। তাঁর দল ৭টি আসনে লড়ে ৪টিতে জয়ী হয়। মন্ত্রী হন তাঁর ছেলে সুমন। গত বছরের অগস্টে নীতীশের দল এনডিএ ছেড়ে আরজেডি়-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধনে’ শামিল হওয়ার পরে জিতনও তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই ভাঙন ধরল জোটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement