পাকিস্তানে ফের হামলা হল হিন্দু মন্দিরে। বুধবার রাতে সিন্ধু প্রদেশের বন্দর শহর করাচির ‘জে’ এলাকায় শ্রী মারি মাতা মন্দিরে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। ভাঙা হয় বিগ্রহ। স্থানীয় কোরাঙ্গি থানার পুলিশ একটি অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে করাচি পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৭-৮ জন ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তাদের খোঁজ চলছে।
সিন্ধু প্রাদেশিক সরকারের তরফে মন্দিরের প্রয়োজনীয় মোরামতি সংস্কারের করানোর কথা জানানো হয়েছে বৃহস্পিতবার। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলায় শ্রী পরমহংসজি মহারাজের সমাধি এবং কৃষ্ণদ্বার মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় গত বছর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে মন্দির সংস্কার করতে হয় পাক সরকারকে। বুধবার রাতে হামলার পিছনে পয়গম্বর সম্পর্কে এক বিজেপি নেতার মন্তব্য ‘অনুঘটক’ হয়েছে বলে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি।
গত বছর পাক পঞ্জাবের রাজধানী লাহৌর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে রহিম ইয়ার খান জেলার ভোঙের গণেশ মন্দির দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিল। এক হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে মন্দিরে হামলা চালানো হয়। কয়েকশো উন্মত্ত মানুষ ভাঙচুরের পাশাপাশি মন্দিরের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়। সপ্তাহ কয়েক আগেই পাক সন্ত্রাসদমন আদালত ওই ঘটনায় ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে। সরকারের তরফেও মন্দির পুনর্নির্মাণ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।