সকাল থেকেই ভোটারদের লাইন হিমাচলে। ছবি: পিটিআই।
‘রাজ’ বদলাবে, না কি ‘রেওয়াজ’? শনিবার সকাল ৮টা থেকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বুধমুখী হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের ভোটারেরা। রাজ্যে মোট ৬৮টি বিধানসভা আসনেই এক দফায় ভোট হচ্ছে। প্রায় ৫৫ লক্ষ ভোটদাতার রায়ে ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৪১২ জন প্রার্থীর। বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটের হার ১৭.৯৮ শতাংশ।ভোটগণনা আগামী ৮ ডিসেম্বর। গুজরাতের সঙ্গেই।
গত ৩৭ বছরে কোনও দল পর পর দু’বার জিতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি হিমাচলে। শনিবার ভোটে সেই রেকর্ড ভাঙতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদীর দল স্লোগান তুলেছে ‘রাজ নহি রেওয়াজ বদলো’ (ক্ষমতার বদল নয়, প্রথা বদল করো)। তবে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, আপেলের ন্যায্য দাম না পাওয়া, সারের অপ্রতুলতার মতো সমস্যার পাশাপাশি শাসক শিবিরকে চিন্তায় রেখেছেন বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা। রাজ্যের ৬৮টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসনে বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীদের।
কংগ্রেস নেতাদের দাবি, পালাবদলের ‘ইতিহাসে’ ভর করেই এ বার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্যে তাঁরা ক্ষমতা দখল করবেন। যদিও চলতি বছরেরই পড়শি রাজ্যে উত্তরাখণ্ডে দু’দশকের ক্ষমতা বদলের প্রবণতাকে অতিক্রম করে ভোটে জিতেছে বিজেপি।
হিমাচলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর তাঁর পুরনো কেন্দ্র সেরাজ থেকে লড়ছেন। প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের ছেলে অনিল শর্মাকেও তাঁর পুরনো কেন্দ্র মন্ডীতে প্রার্থী করেছে পদ্ম-শিবির। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সতপাল সিংহ সাত্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে উনা আসনে। অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে হারোলি আসনে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তিন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখবিন্দর সিংহ সুখু (নদুয়ান), কুলদীপ সিংহ রাঠৌর (থিয়োগ) এবং কল সিংহ ঠাকুরের (দারং) নাম রয়েছে ভোটপ্রার্থীদের তালিকায়। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভার ছেলে বিক্রমাদিত্য লড়ছেন শিমলা (গ্রামীণ) কেন্দ্রে।
২০১৭-য় কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে শিমলার কুর্সি দখল করেছিল নড্ডার দল। বিজেপি ৪৪ এবং কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতেছিল। সিপিএম ১ এবং নির্দল প্রার্থীরা ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন সে সময়। এ বার ভোটের দু’দিন আগে এবিপি নিউজ এবং সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ৬৮ আসনের বিধানসভায় ৩১-৩৯টি আসন পেতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস পেতে পারে ২৯-৩৭টি আসন। অর্থাৎ লড়াই প্রায় সমানে-সমানে। অন্য কয়েকটি সমীক্ষাতেও ‘তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার’ আঁচ মিলেছে। যদিও আগে এ ধরনের সমীক্ষা অনেক সময়ই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
(এই কপিটি প্রথম প্রকাশের সময় ‘ভোটের ফল ৮ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১২ ডিসেম্বর লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।)