প্রতীকী ছবি।
বাড়ি বাড়ি খাবার সরবরাহ করেন বছর সাইত্রিশের রিজওয়ানুদ্দিন। তাতে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া এবং ঋণের কিস্তি মিটিয়ে সংসার চলে যায়। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে তেমন অর্ডার না পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই পকেটে টান পড়েছে তাঁর। তার উপর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় রিজওয়ানের পিঠ যেন দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে।
রিজওয়ানের মতোই এক পরিস্থিতির শিকার স্বল্প উপার্জনকারীরা কর্মীরা। অতিমারি এবং পেট্রোল, ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দাম তাঁদের জীবিকা সংশয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। রিজওয়ানুর বলেন, “অতিমারির আগে সপ্তাহে দেড় হাজার টাকা খরচ করতাম পেট্রোলে। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে উপার্জন কমে গিয়েছে। কিন্তু তেলের দাম বেড়েছে। ফলে যা আয় হয় তার এক-তৃতীয়াংশই জ্বালানিতে খরচ হয়ে যায়।”
দেশের মেট্রো শহরগুলোতে পেট্রোল, ডিজেলের দাম তরতরিয়ে বাড়ছে। মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা ব্যাঙ্কক, হ্যানয় এবং ম্যানিলার থেকে ৫০-৭০ শতাংশ বেশি। অর্থ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, অতিমারি পরিস্থিতিতে যে হেতু স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ বেড়েছে সরকারের, বেশ কিছু ক্ষেত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তাই জ্বালানির উপর কর কমানোর কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছে না সরকার। যার ফলে স্বল্প উপার্জনকারী কর্মীদের জ্বালানি কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে।