ছবি— পিটিআই
উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাব পরার দাবিতে তাঁদের বিক্ষোভ খবরে এসেছিল মাসখানেক আগে। সেই ছ’জন মুসলিম ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য এ বারে নেটমাধ্যমে ফাঁস করার অভিযোগ উঠল। ওই ছাত্রীদের অভিভাবকেরা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কর্নাটক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উদুপির পুলিশ সুপার এন বিষ্ণুবর্ধনের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরে শুক্রবার এক অভিবাবক বলেন, ‘‘আমার মেয়ে এবং তার বান্ধবীদের নাম, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর-সহ নানা তথ্য নেটমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। আশঙ্কা করছি, ভবিষ্যতে তাদের হুমকি দিতে সেগুলি ব্যবহার করা হবে।’’ এ বিষয়ে বিষ্ণুবর্ধন বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই ছাত্রীদের থেকে এ সংক্রান্ত অনলাইন-তথ্য চাওয়া হয়েছে। তা পাওয়া গেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপির ওই কলেজে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। জেলা প্রশাসনের ‘বার্তা’ পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষই হিজাব পরে ক্যাম্পাসে না ঢোকার নির্দেশিকা জারি করেছিল বলে অভিযোগ।
কয়েক জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ওই ছ’জন ছাত্রী তার প্রতিবাদ করেছিলেন। এর পর তাঁদের সমর্থনে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় মুসলিম ছাত্রদের একাংশ। পাল্টা রাজ্য জুডে় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি হিজাব নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
চলতি হিজাব-বিতর্কে ইতি টানতে চলতি মাসে কর্নাটকের সরকারি কলেজগুলিতে পোশাক নির্দেশিকা জারি করেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। কর্নাটক শিক্ষা আইন ১৯৮৩-এর কথা উল্লেখ করে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাক পরেই পড়ুয়াদের কলেজে আসতে হবে। যে-সব কলেজে নির্দিষ্ট কোনও পোশাকবিধি নেই, সেখানে এমন পোশাক পরা যাবে না যাতে শিক্ষাঙ্গনের ভারসাম্য, ঐক্য এবং শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।
কর্নাটকের শিক্ষা আইন অনুযায়ী, সরকারি কলেজগুলি নিজস্ব পোশাকবিধি চালু করতে পারে। কয়েকটি সরকারি কলেজে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে আসার অনুমতি থাকলেও হিজাব পরে ক্লাস করা যাবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা নেই।