ছবি সংগৃহীত।
করোনা অতিমারির কারণে বন্দিদের জামিন বা প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। তবে বর্তমানে রাজধানীর জেলগুলির পরিস্থিতি বিচার করে সেই নির্দেশ আর কার্যকর রাখার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল আদালত।
ডিজি (কারা) জানাচ্ছেন, হাইকোর্টের ওই নির্দেশের কারণে অন্তত ৬৭০০ বন্দি প্যারোলে বা জামিনে মুক্ত রয়েছে। হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, দিল্লির তিহাড়, রোহিণী এবং মন্ডোলী— এই তিনটি জেলে ১০ হাজার বন্দি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে বন্দি রয়েছে ১৬ হাজারের কাছাকাছি। যার প্রেক্ষিতে আজ প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল বলেছেন, ‘‘কোভিড-পর্বে সংক্রমণ কমানোর জন্য আমরা ওই নির্দেশ দিয়েছিলাম। জেলগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় কমাতে আদালতের ওই নির্দেশ নয়। এখন কোভিড-পর্ব অনেকটাই মিটেছে। অন্য কারণে যারা প্যারোল বা জামিনে মুক্ত আছে, তাদের কথা আলাদা, বাকিদের জেলে ফিরে যেতে হবে।’’
আদালতের পর্যবেক্ষণ, করোনা সংক্রমণ নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষরা যথেষ্ট সচেতন। কেউ আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সতর্কতায় শিথিলতা নয়, বার্তা মোদীর
দিল্লি হিংসা নিয়ে একটি মামলার সূত্র ধরেই দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়। আদালতে জমা পড়া আবেদনে বলা হয়েছিল, হিংসায় অভিযু্ক্তেরা পারিবারের লোকের অসুস্থতা বা অন্যান্য কারণ দেখিয়ে জামিন নিচ্ছে এবং তার পরে হাইকোর্টের রায় দেখিয়ে সেই জামিনের মেয়াদ হাড়িয়ে নিচ্ছে। দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত অন্তত ২০ জন হাইকোর্টের রায়ের সুবিধা নিয়ে জামিনে মুক্ত রয়েছে। ডিজি (কারা)-র পক্ষে দিল্লি সরকারের আইনজীবী রাহুল মেহরা আদালতকে জানান, তারা এখন নির্দেশ তুলে নিলে করোনা পরিস্থিতিতে সু্প্রিম কোর্ট জেলগুলিতে ভিড় কামানোর যে নির্দেশ দিয়েছিল তা অমান্য করা হবে।
আরও পড়ুন: টিকায় আবশ্যিক নয় ডিজিটাল স্বাস্থ্যকার্ড: কেন্দ্র
গত ২৮ সেপ্টেম্বরই দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, তারা তাদের নির্দেশের অপব্যবহার চায় না। সে রকম হলে নির্দেশ তুলে নেবে আদালত। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘বন্দিরা এর সুযোগ নিলে আমাদের নির্দেশ তুলে নিতে হবে। এতে ওদেরই ভুগতে হবে।’’