হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভার মধ্যে ৭০টিতে জোট বেঁধে লড়বে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং কংগ্রেস। বাকি ১১টি আসন ছেড়ে রাখা হচ্ছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের জন্য। শনিবার জেএমএম নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই জোটসূত্রের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু হেমন্ত প্রস্তাবিত আসনরফায় সন্তুষ্ট নয় লালুপ্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আরজেডির বক্তব্য, সাংগঠনিক শক্তির বিচারে ঝাড়খণ্ডের অন্তত ১৫-১৬টি আসনে একক ভাবে বিজেপিকে হারাতে পারে তারা।
শনিবার হেমন্ত বলেন, “আসন সমঝোতা নিয়ে এখনই আমরা বিস্তারিত কিছু বলছি না। আমাদের জোটসঙ্গীরা বর্তমানে এখানে নেই। যখন তাঁরা এক সঙ্গে আসবেন, তখন আমরা আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলব।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৩টি আসনে লড়েছিল জেএমএম। কংগ্রেস লড়েছিল ৩১টি আসনে। তবে সূত্রের খবর, এ বার কংগ্রেস ২৭-২৮টি আসনে লড়তে পারে। গত বিধানসভা ভোটে আরজেডি সাতটি আসনে লড়লেও এ বার তুলনায় কম আসন ছাড়া হতে পারে তাঁদের। পাঁচটি আসনে লড়তে পারে সিপিআই(এমএল)।
হেমন্তের ঘোষণার পরেই আসন রফা নিয়ে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে সব রাস্তা খোলা রয়েছে।” একক শক্তিতে তাঁরা বিজেপিকে ১৫ থেকে ১৮টি আসনে হারাতে পারেন বলেও দাবি করেন তিনি। ঝাড়খণ্ডে ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ। ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের সঙ্গেই হবে ফলপ্রকাশ।