সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রত্যাহার করলেন হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টে ইডির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য বলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে তথ্য লুকোনোর অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে সোরেনের আইনজীবীদের।
সুপ্রিম কোর্টে গ্রেফতারি বিষয়ক দু’টি পৃথক মামলা করেছিলেন সোরেন। একটি ছিল গ্রেফতারির বিরুদ্ধে। অন্যটি ছিল জামিনের আবেদন জানিয়ে করা মামলা। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে মামলাগুলি শুনানির জন্য ওঠে। বিচারপতিরা জানান, আদালতের কাছে তথ্য গোপন করেছেন সোরেনের আইনজীবীরা। তাই সোরেনের আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। এর পরেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন তাঁর আইনজীবীরা।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, সোরেনের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, ইতিমধ্যে নিম্ন আদালতে সেগুলি বিচারাধীন। সেই তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়নি। বিচারপতি দত্তের মন্তব্য, ‘‘আপনি তো সমান্তরাল ভাবে দু’জায়গায় প্রতিকার খুঁজছেন। সত্যকে ধামাচাপা দিচ্ছেন।’’ সোরেনের আইনজীবী কপিল সিব্বলের উদ্দেশে বিচারপতির আরও মন্তব্য, ‘‘এ ভাবে সত্য গোপন করে আদালতে আপনি আসতে পারেন না। আপনাকে দোষমুক্ত বলা যায় না। আমরা আশা করেছিলাম, আপনার মক্কেল অকপটে আদালতের সামনে আসবেন। কিন্তু আপনারা তো তথ্য গোপন করছেন।’’
ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা সোরেন লোকসভা ভোটে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৩ মে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) সংক্রান্ত রাঁচীর বিশেষ আদালত হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। সে দিনই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্র। তাঁর আর্জি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতো তাঁকেও লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দেওয়া হোক।
গত ৩১ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল সোরনকে। গ্রেফতারির আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ইডির গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতে আগেই আবেদন জানিয়েছেন সোরেন। এ বার সেই শীর্ষ আদালতেই ধাক্কা খেতে হল তাঁকে। আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।