বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী।—ছবি পিটিআই।
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র বিরাজমান কপিকুল এখন ‘শোলে’র বাসন্তীর কাছে ‘গব্বর সিং’! আজ লোকসভার জিরো আওয়ারে বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী সরব হয়েছেন এই সমস্যা নিয়ে। তার সূত্র ধরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে বাঁদরের উৎপাত নিয়ে সরকারকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন হেমা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের অন্তর্গত বৃন্দাবন এবং মথুরায় বাঁদরের উপদ্রব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে তারা সব কেড়ে নিচ্ছে। বনজঙ্গল সাফ করে দেওয়ার জন্যই বাঁদরের উৎপাত বাড়ছে।’’ হেমার পরামর্শ, বাঁদর সাফারি তৈরি হলে সমস্যা কমবে।
সুদীপ শোনান, বাঁদরের চশমা-চুরির গল্প! তাঁর কথায়, ‘‘বৃন্দাবনের রামকৃষ্ণ মিশনে আমি প্রায়ই যাই। হরিদ্বারেও যাই। একবার গাড়ি থেকে নামতেই দেখি কেউ গায়ে হাত রাখল। তার পরেই দেখি আমার চশমা চোখে নেই! এত সুন্দর ভাবে চশমা চুরি করেছে বাঁদর যে বুঝতেই পারিনি!’’
বাঁদরদের সক্রিয়তা নিয়ে এলজেপি সাংসদ তথা মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ান বলেছেন, ‘‘বাঁদরের উৎপাত আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। তাদের জন্য বাচ্চারা দিল্লির পার্কে খেলতে পারে না।’’