জলের তলায় চলে গিয়েছে রেললাইন। পরিষেবা বিপর্যস্ত।
বৃষ্টিতে হাবুডুবু খাচ্ছে মুম্বই। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীগুলি। শুক্রবারেই আগামী দু’দিন প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। বন্যার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। সাবিত্রী নদীর উপর যে ভাবে সেতু ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে মানুষের, বৃষ্টির ভ্রূকুটি রাজ্য প্রশাসনের কপালে আরও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এ রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সে কারণেই পুণেতে চারটি সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষায় পুণের মুথা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যায়। এ বার পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছে। তাই এই নদীর উপর তিলক সেতু, এসএম জোশী সেতু, কাকাসাহেব গ্যডগিল সেতু এবং বাবা বিরে কজওয়ে নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাঁধগুলো থেকে যে পরিমাণে জল ছাড়া শুরু হয়েছে, তাতে আরও কোনও সেতু ভেঙে দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্যই আগে ভাগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঁধগুলি থেকে ৪২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। পাবনা বাঁধ ৮৫ শতাংশ ভর্তি হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে ৩৬০০ কিউসেক জল ছেড়েছে সেচ দফতর।
কোলাপুরে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের অর্ধেকটাই হয়ে গিয়েছে এই ক’দিনে। পঞ্চগঙ্গা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পুণেতে ভারী মাত্রায় বৃষ্টি হবে। মুম্বইয়ের উপকূলবর্তী এলাকা এবং মহাবালেশ্বরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। লাভাসা এবং সিংহগড় দুর্গে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ের হাল দেখে অমিতাভ বচ্চন অভয় দিয়েছেন বাসিন্দাদের। তিনি টুইট করে বলেন, “প্রকৃতি যেন ক্ষেপে উঠেছে। তবে ভয় পাবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে।” কবীর বেদি আবার টুইট করে বলেন, “প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ির লনটা যেন হ্রদে পরিণত হয়েছে।”
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে ঠাণে, পালঘর এবং রায়গড় জেলা। বিপর্যস্ত মুম্বই-আমদাবাদ, মুম্বই-পুণে, মুম্বই-নাসিক এবং মুম্বই-গোয়া জাতীয় সড়ক।
আরও খবর...