নয়ডায় জলমগ্ন এলাকা থেকে উধ্ধার করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। ফলে যমুনার জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার ভারী বৃষ্টির জেরে রাজধানীর বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ৩৭.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। আগামী কয়েক দিন মাঝারি বৃষ্টি চলবে রাজধানীতে।
গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় বুধবার যমুনার জলস্তর আবার বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে নিচু এলাকগুলিতে আবার সতর্কবার্তা জারি করেছে প্রশাসন। অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা এবং হিন্দন নদী বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৩১ হাজার বাসিন্দাকে ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরানো হয়েছে। ১৬০০ হেক্টর জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে।
গৌতমবুদ্ধ নগরের জেলাশাসক মণীশ কুমার বর্মা এবং নয়ডা অথরিটির সিইও লোকেশ এম জলমগ্ন গ্রামগুলি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে গৌতমবুদ্ধ নগরে স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যমুনার জলে প্লাবিত নাংলি ওয়াজিদপুর, শাহপুর গোবর্ধনপুর খাদার, চকবসন্তপুর, বসন্তপুর, ইয়াকুতপুর-সহ বহু এলাকা।
মহারাষ্ট্রেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তার মধ্যে রয়েছে মুম্বই, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গের বহু এলাকা। মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় স্কুল, কলেজগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। রাতভর বৃষ্টিতে নাগপুরেরও বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের ছবিটা এখনও একই রয়েছে। বৃষ্টি আর ভূমিধসের জেরে বিপর্যস্ত এই দুই রাজ্য। রাজধানী দেহরাদূন-সহ উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ধসের জেরে হৃষিকেশ যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক-সহ উত্তরাখণ্ডের ২৪১টি সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেগুলি পরিষ্কারের কাজ চলছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ২০০টি জেসিবিকে কাজে লাগানো হয়েছে। তুনি-টিহরী ৭০৭এ জাতীয় সড়ক এবং হৃষিকেশ বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কও ধসের কারণে বন্ধ।
অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশের ৯টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তার মধ্যে রয়েছে শিমলা, সোলান, মান্ডি, সিরমুর, বিলাসপুর, কাংড়া, চম্বা, হামিরপুর এবং উনা। আগামী তিন দিন এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।