Salman Khurshid

‘মাথায় তো আকাশ ভেঙে পড়ছিল না’, কংগ্রেসে চিঠি বিতর্কে বিক্ষুব্ধদের খোঁচা খুরশিদের

কংগ্রেসের ওই গোষ্ঠী প্রস্তাব দিলেও তিনি নিজে ওই চিঠিতে সই করতেন না বলেও জানিয়েছেন সলমন খুরশিদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২০ ১৯:৫৪
Share:

সলমন খুরশিদ। —ফাইল চিত্র

সনিয়া গাঁধী বলেছিলেন, বিক্ষুব্ধ নেতাদের চিঠিতে তিনি আহত হলেও মনে কারও প্রতি বিদ্বেষ রাখছেন না। কিন্তু কংগ্রেসে চিঠি-বিতর্কের আঁচ যেন নিভতেই চাইছে না। এই পর্বে এ বার নতুন কুশীলব সলমন খুরশিদ। সনিয়া গাঁধীর হয়ে ব্যাট ধরে রবিবার বিক্ষুব্ধ নেতাদের বিঁধেছেন সলমন। তাঁর যুক্তি, সনিয়া গাঁধী এখনও দলের হাল ধরে রয়েছেন। এর প্রেক্ষিতেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘দলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে বলে আমার মনে হয় না।’’

Advertisement

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ দীর্ঘদিন ধরেই গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যাঁরা দলের নেতৃত্বের বদলের দাবি তুলে চিঠি লিখেছিলেন তাঁদের সঙ্গে তিনি সহমত নন। কংগ্রেসের ওই গোষ্ঠী প্রস্তাব দিলেও তিনি নিজে ওই চিঠিতে সই করতেন না বলেও এ দিন জানিয়েছেন সলমন খুরশিদ।

দলে এক জন পূর্ণ সময়ের সভাপতি এবং সাংগঠনিক স্তরে সংস্কারের দাবি তুলে সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখেছিলেন ২৩ কংগ্রেস নেতা। তার মধ্যে রয়েছেন গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বলের মতো নেতাও। সেই চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে কংগ্রেস। যদিও গত সপ্তাহে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, আপাতত ৬ মাসের জন্য দলের সভানেত্রী হিসাবে থাকছেন সনিয়া গাঁধীই। কিন্তু সেই চিঠি নিয়ে কংগ্রেসের একটি অংশের ক্ষোভ যেন কিছুতেই মিটছে না। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এ দিন খুরশিদ বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট যে যাঁরা চিঠি লিখেছেন তাঁরা আমার দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে অন্যতম। সনিয়া গাঁধীও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এই বিষয়টি যদি দলের মধ্যেই আবদ্ধ থাকত তা হলে সবচেয়ে ভাল হত।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান চিনের পুতুল’, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ইমরানের খোঁচার জবাবে জয়শঙ্কর

বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে বিঁধে খুরশিদ আরও বলছেন, ‘‘আমাদের সনিয়া গাঁধীর মতো নেত্রী রয়েছে। আমাদের রাহুল গাঁধীর মতো নেতা রয়েছেন। আমার কাছে মনে হয় না, নেতা নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের তাড়াহুড়ো করার কোনও অর্থ হয়। দলের সভাপতি নির্বাচন যখন হওয়ার তখনই হবে। আমার মনে হয় না এতে আকাশ ভেঙে পড়ছে। যে তাড়াহুড়ো দেখানো হচ্ছে তার কারণ আমার কাছে স্পষ্ট নয়।’’

আরও পড়ুন: ছাত্ররা ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ চাইছেন, মোদী করলেন ‘খিলোনে পে চর্চা’, কটাক্ষ রাহুলের

সনিয়া গাঁধীর পক্ষ নিয়েই খুরশিদের দাবি, ‘‘আমাদের আংশিক সময়ের কোনও সভাপতি নেই। আমাদের পূর্ণ সময়েরই সভানেত্রী রয়েছেন। কিন্তু সেই পূর্ণ সময়ের সভাপতি এক জন অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি। তিনিই দীর্ঘতম সময়ের সভাপতি। আমাদের উচিত তাঁকে বিশ্বাস করা এবং তিনি যখন উপযুক্ত মনে করবেন তখনই পদক্ষেপ করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও তাঁর উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement