সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই তদন্তের ঢালাও ছাড়পত্র বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করার পরেও সিবিআই রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। গত দু’বছরে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের বিবাদের এই মামলা বিশ বার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হলেও এক বারও শুনানি হয়নি। আজ ফের কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালে তার প্রতিবাদ জানান রাজ্যের আইনজীবীরা। রাজ্যের হয়ে কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘এর পরে তো আমার মক্কেল (রাজ্য সরকার) আমাকে সন্দেহ করবে!’’ কোর্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে। তবে রাজ্যের মামলায় কেন্দ্রের প্রাথমিক কিছু আপত্তি রয়েছে বলেও জানান সলিসিটর জেনারেল।
একাধিক বিরোধী শাসিত রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও রাজ্যে সিবিআই তদন্তের ঢালাও অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু তার পরেও আদালতের নির্দেশে তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআই বিভিন্ন মামলায় এফআইআর দায়ের করে। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের পরে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই বহু এফআইআর দায়ের করতে শুরু করায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদে কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ সংক্রান্ত ‘অরিজিনাল সিভিল স্যুট’ দায়ের করা হয়। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনে সিবিআইকে এফআইআর করার আগে রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
আজ সলিসিটর জেনারেল তাঁর ব্যস্ততার জন্য শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটি এমন কোনও জরুরি মামলা নয়।’’ রাজ্যের আইনজীবীরা তাতে আপত্তি জানান। বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, বারবার শুনানি পিছিয়ে দেওয়াটা খারাপ দেখায়। মেহতা বলেন, তাঁদের তরফে প্রাথমিক কিছু আপত্তি রয়েছে। আদালত যেন মূল বিষয়ে না ঢোকে। বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, ‘যদি প্রাথমিক আপত্তিতে তাঁরা তেমন কিছু না দেখেন, তা হলে!’ বৃহস্পতিবার শুনানি হবে ঠিক হয়।