করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাগামছাড়া হয়েছে দেশের করোনা সংক্রমণ। মাস্ক পরা থেকে দূরত্ববিধি মানার জন্য রয়েছে সরকারি নির্দেশিকা। রাজ্যে রাজ্যে চলছে লকডাউন।কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরেন না। যাঁরা মাস্ক পরেন তাঁদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ মাস্ক দিয়ে নিজেদের নাক ঢেখে রাখেন না। নিয়ম মেনে মাস্ক পরেন মাত্র ১৪ শতাংশ। এক সমীক্ষায় এ রকমই তথ্য উঠে এসেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সম্পাদক লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, দেশের ৮টি রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষেরও বেশি। ৯ টি রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে। ১৯টি রাজ্যে সক্রিয় রোগী অবশ্য ৫০ হাজারের নীচে। তিনি বলেছেন, ‘‘কর্নাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু রাজ্যে সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের বেশি। যা উদ্বেগের বিষয়।’’ এই মুহূর্তে দেশের ৭টি রাজ্যে সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের বেশি। ১৫ শতাংশের বেশি প্রায় ২২ রাজ্যে।
দেশে করোনা পরীক্ষা যে আগের থেকে বেড়েছে সে বিষয়টিও এ দিন উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। ১০ সপ্তাহ ধরে ধারবাহিক বৃদ্ধির পর গত দু’সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ কম হওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে এ দিনও দূরত্বিবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন লব। তিনি বলেছেন, ‘‘গত ৩ সপ্তাহ ধরে দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডে দৈনিক সংক্রমণ এবং সংক্রমণের হার কমেছে। কিন্তু তামিলনাড়ু, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, সিকিম, মিজোরামের মতো রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ।’’