প্রতীকী ছবি—পিটিআই।
দেশ জুড়ে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকাকরণের কাজ। এর মধ্যেই টিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ছড়াচ্ছে নানা গুজব। তা সামলাতে এ বার আসরে নামলেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। টিকা সংক্রান্ত একগুচ্ছ সংশয় তিনি দূর করেছেন একাধিক টুইটের মাধ্যমে। সেই টুইটগুলিতে টিকা সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের টিকা না কি বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘কোভিড টিকা মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। দয়া করে গুজব এবং ভুল তথ্যে কান দেবেন না।’ টিকা নিলে কোভিডে আক্রান্ত হতে হবে বলে যে প্রচার তাও এ দিন নস্যাৎ করছেন তিনি। বলেছেন, ‘টিকা নিলে সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে জ্বর আসতে পারে। তার মানে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া নয়।’ অন্যান্য অনেক টিকার মতো কোভিড টিকা নেওয়ার পর কারও কারও দেহে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক বলে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শনিবার থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে কোভিড টিকা দেওয়ার কাজ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র পেয়েছে। দু’টি টিকাই তৈরি হয়েছে ভারতে। অক্সফোর্ডের টিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দেওয়া হচ্ছে। তাই তার কার্যক্ষমতা অনেকটাই প্রমাণিত। কিন্তু কোভ্যাক্সিন কতটা কার্যকরী তা জানতে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে কোনও টিকার কার্যকারিতা ভাল ভাবে বোঝা যায়। সেই ট্রায়াল চলাকালীনই সরকার ছাড়পত্র দিয়েছিল সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কোভ্যাক্সিনকে। যা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে বিভিন্ন মহলে। দু’টি টিকা ছাড়পত্র পেলেও সাধারণের কাছে এই মুহূর্তে তেমন বিকল্প নেই। যে টিকা সরকারি ভাবে দেওয়া হবে, সেটাই এখন নিতে হবে। এর মধ্যেই টিকা সংক্রান্ত গুজবকে দূরে রাখতে আসরে নামল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।