কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন— ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের গোড়াতেই একাধিক করোনা টিকার গবেষণা এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাফল্যের আশা করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সে সময়ই ভারতে করোনা টিকা পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, পুরোদমে টিকার উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু হলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়াতে তার সুফল মিলতে শুরু করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে মঙ্গলবার হর্ষ বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি আগামী বছরের শুরুতেই একাধিক উৎস থেকে করোনার প্রতিষেধক পাওয়া যাবে। আমাদের বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যেই টিকার উৎপাদন এবং বণ্টন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত রূপরেখা তৈরি করেছে।’’
বিশ্বজুড়ে এখন ৩৮টি সম্ভাব্য করোনা টিকার মানব বা পশুদেহে ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চলছে। প্রাক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ের গবেষণা চলছে ৯৩টি সম্ভাব্য করোনা টিকার উপর। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার টিকার উপর ভরসা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ প্রতিষেধক ব্যবহারের পথ খোলা রাখছি।’’
ভারতে করোনা টিকা প্রস্তুত করতে অন্তত সাতটি পৃথক গবেষণা চলছে। ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, জাইডাস ক্যাডিলা, প্যানাসিয়া বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস, মাইনভ্যাক্স অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল-ই-র মতো সংস্থা এই উদ্দেশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পডুন: অক্সফোর্ডের পর জনসন, স্বেচ্ছাসেবকের অজানা রোগ, বন্ধ হল করোনা টিকার ট্রায়াল
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর সহায়তায় ভারত বায়োটেকের তৈরি সম্ভাব্য করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। কয়েকটি সংস্থার টিকার মানবদেহে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েও আপাতত বন্ধ।
আরও পডুন: পি-কের পরামর্শেই একলা চলো চিরাগের, জল্পনা বিহারে
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমেরিকার সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন টিকা উৎপাদনের বিষয়ে সেরামের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তবে এরই মধ্যে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে ৬০ হাজারের নীচে নামায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।