দক্ষিণী চলচ্চিত্র ‘হেব্বুলি’ থেকে এই চুলের ছাঁট জনপ্রিয় হয়। ছবি: সংগৃহীত।
কন্নড় অভিনেতা কিচ্চা সুদীপ অভিনীত ছবি ‘হেব্বুলি’ জ্বরে কাঁপছে কর্নাটকের একটি গ্রাম। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সুদীপের অনুকরণ করে স্কুলপড়ুয়ারা চুলের ছাঁট দেওয়া শুরু করেছে। আর তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই গ্রামেরই সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষক। শেষমেশ পড়ুয়াদের মাথা থেকে সুদীপের এই ‘ভূত’ নামাতে সেলুন মালিকদের দ্বারস্থ হতে হল তাঁকে।
ঘটনাটি কর্নাটকের বাগালকোট জেলার কুলাহাল্লি গ্রামের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে দারুণ হিট করেছিল কিচ্চা সুদীপ অভিনীত ‘হেব্বুলি’ ছবিটি। সম্প্রতি সেই ছবি কর্নাটকের একটি গ্রামে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়ারা ওই ছবিতে সুদীপের চুলের ছাঁটের ‘প্রেমে’ পড়ে গিয়েছে। সেলুনে গিয়ে সেই ছাঁট দেওয়া শুরু করেছে। এই ছাঁটে মাথার এক পাশের চুল খুব ছোট করে কাটা হয়, অন্য পাশে চুল লম্বা রাখা হয়। স্কুলে ছাত্ররা সব এরই রকম ভাবে চুল ছেঁটে আসায় স্তম্ভিত হয়ে যান শিক্ষকরা। তাঁরা বিষয়টি প্রধানশিক্ষককে জানান।
প্রধানশিক্ষকও পড়ুয়াদের চুলের একই রকম ছাঁট দেখে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। খোঁজখবর নিতে গিয়ে চমকে ওঠেন প্রধানশিক্ষক। গ্রামের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারেন, কিচ্চা সুদীপের ‘হেব্বুলি’ জ্বরে কাবু গ্রামের তরুণ প্রজন্ম। আর সেই কারণেই সুদীপের মতো নিজেদের সাজিয়ে তুলতে তাঁর মতো চুলের ছাঁট দিতে শুরু করেছে গ্রামের কিশোর, তরুণ এবং যুবকরা। বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক। উপায় না দেখে তিনি গ্রামের সমস্ত সেলুন মালিকের উদ্দেশে চিঠি লেখেন। তাতে তিনি লেখেন, “দেখতে পাচ্ছি আমার স্কুলের ছাত্ররা হেব্বুলি ছাঁট দিচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি ওদের আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার পরিবর্তে চুলের ছাঁটের প্রতি মনোযোগী হয়ে পড়ছে। তাই বিনীত অনুরোধ, কোনও ছাত্র যদি এই রকম ছাঁট দিতে চায় বা আপনাদের জোরাজুরি করে, তা হলে তাদের নাম আমার কাছে পাঠান।”