প্রতীকী ছবি।
হাথরসে ধর্ষিতা তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার পথে এক সাংবাদিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। সিদ্দিক কাপ্পান নামে ওই সাংবাদিক কেরলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত, দিল্লিতে কর্মরত।
গতকাল সিদ্দিক এবং তাঁর তিন সঙ্গী যখন হাতরসে যাচ্ছিলেন, সেই সময়ে মথুরার কাছে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। সিদ্দিক ছাড়া ধৃত তিন জন হলেন, মুজফ্ফরনগরের আতিক-উর রহমান, বাহরাইচের মাসুদ আলম ও রামপুরের বাসিন্দা আলম। পুলিশের দাবি, এঁরা উগ্রপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই)সঙ্গে যুক্ত। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে পিএফআইয়ের ভূমিকার কথা সামনে এনে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সাংবাদিকের গ্রেফতারির পরেই ‘কেরালা ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস’ জানিয়েছে, সিদ্দিক তাদের সংগঠনের পদাধিকারী। তিনি সংবাদ সংগ্রহ করতে হাথরসে যাচ্ছিলেন। ফলে তাঁকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। ওই সাংবাদিকের মুক্তির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলাও করেছে কেরলের সাংবাদিকদের সংগঠন।
হাথরসের ঘটনাকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ক’দিন থেকেই মরিয়া যোগী সরকার। এই পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজ্যে যে ১৯টি এফআইআর করা হয়েছে, তার একটিতে বলা হয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার যাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলে, সে জন্য তাঁদের ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়েছে। হাথরস পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর হয়েছে। সেখানে বলা হয়নি কে বা কারা এই ঘুষ দিতে চেয়েছিল। বা অভিযোগের ভিত্তি কী?
আরও পড়ুন: হাথরসের ঘটনা ভয়ঙ্কর: আদালত
হাথরসে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক রাজবীর সিংহ পালোয়ানের বাড়িতে উচ্চবর্ণের সমাবেশ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, পাশে দাঁড়িয়ে থেকে সেই সময়ে চুপ করেছিল পুলিশ। তবে সংবাদসংস্থা পিটিআই আজ জানিয়েছে, ওই সমাবেশ নিয়ে প্রায় ১০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ, মৃত্যু হাথরসের নাবালিকার, ধৃত আত্মীয়