হাথরসে নির্যাতিতার গ্রামে সিবিআই। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লব কুশ শিকরওয়ারের বাড়ি থেকে ‘রক্তমাখা’ কয়েকটি পোশাক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করল সিবিআই। তবে তাদের এই দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা। পাল্টা তাঁদের দাবি, সিবিআই যেটা রক্ত বলে সন্দেহ করছে, তা আদৌ রক্ত নয়। লাল রং।
অভিযুক্তের পরিবার এ প্রসঙ্গে দাবি করেছে, লবের দাদা রবি রঙের কারখানায় কাজ করেন। সেখান থেকেই পোশাকে লাল রং লেগেছে। অন্য দিকে, লবের ছোট ভাই ললিত জানান, সিবিআইয়ের একটি দল আড়াই ঘণ্টা ধরে গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। তখনই লাল রং লেগে থাকা পোশাকগুলি তদন্তকারীদের চোখে পড়ে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এর পরই ললিত বলেন, “ওই পোশাকগুলো দাদার। ও রঙের কারখানায় কাজ করে। সেখান থেকেই লাল রং লেগেছে। ওটা যে রক্ত নয়, আশা করি তদন্তকারীরা সেটা বুঝতে পেরেছেন।”
কয়েক দিন আগেই সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই মতো নির্যাতিতার গ্রাম বুলা গড়হীতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। গত চার দিন ধরে সেখানেই রয়েছে দলটি। সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। তথ্য জোগাড়ের জন্য ঘটনাস্থলে নির্যাতিতার ভাই, কাকিমা এবং মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযুক্ত লবের বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়েই ‘রক্তমাখা’ পোশাকগুলো হাতে আসে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার উচ্চবর্ণের যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় তরুণীর। রাতারাতি তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে। হাথরসের এই ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদে মুখর হন রাজনীতিক থেকে সাধারণ মানুষ। ঘটনার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সিবিআই তদন্তের জোরালো দাবি ওঠে। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছে যোগীর সরকার।
আরও পড়ুন: ভোপালের ১২ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ তিন পাবজি বন্ধুর