হাথরসের নির্যাতিতাকে এ ভাবেই রাতের অন্ধকারে দাহ করেছিল পুলিশ। —ফাইল চিত্র
অভিযোগ, হাথরসের নির্যাতিতার আত্মীয়া হওয়ার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে দু’দিন তাঁদের বাড়িতে ছিলেন তিনি। জবলপুরের সেই চিকিৎসক রাজকুমারী বনসল সব অভিযোগ অস্বীকার করে শনিবার দাবি করলেন, তিনি কখনওই নিগৃহীতার ‘ভাবি’ পরিচয় দেননি। কিছু মিডিয়া চ্যানেল এ ধরনের ‘গল্প’ তৈরি করছে।
হাথরসের ঘটনার সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) এবং মাওবাদী যোগ রয়েছে কি না, তার তদন্ত শুরু করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। তাতেই রাজকুমারী বনসল নামে এই ডাক্তারের কথা সামনে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্যাতিতার বৌদি পরিচয় দিয়ে তাঁদের বাড়িতে দু’দিন ছিলেন রাজকুমারী এবং মিডিয়ার সামনে পরিবারটিকে নির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য রাখার প্ররোচনা দেন। রাজকুমারী বনসল মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস মেডিক্যাল কলেজ’-এর চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওখানে (নির্যাতিতার বাড়িতে) ছিলাম। যদি কেউ আমায় ‘ভুয়ো বৌদি’ হিসেবে চিহ্নিত করে, তা হলে আমার কিছু করার নেই। আমি কি কাউকে বলেছিলাম, যে আমি নির্যাতিতার বৌদি। আমি অশিক্ষিত নই। আমি শুধু তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই কথা বলছি।’’
রাজকুমারী জানান, মানবিকতার খাতিরে ওই বাড়িতে যান তিনি। বলেন, ‘‘আমি ওঁদের কিছু আর্থিক সাহায্য করার কথাও ভেবেছি।’’ তিনি জানান, কয়েক ঘণ্টা থেকে চলে যাবেন ভেবেছিলেন। নির্যাতিতার পরিবার থাকতে বলেন। রাজকুমারীর কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশের সিট আমার সঙ্গে মাওবাদী যোগ খোঁজার চেষ্টা করছে। ওরা দেখা করতে এলে বুঝতে পারব, কী করতে চাইছে।’’ এ দিনই সিবিআই মামলার তদন্তভার আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে নিয়েছে।