Hasan Mahmud-S. Jaishankar

হাছান-জয়শঙ্কর কথা দিল্লিতে, তিস্তা নিয়েও আলোচনা 

মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী অথবা সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন এই আলোচনায়। বৈঠক চলবে কালও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৬
Share:

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: এক্স।

প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমুদ্র রণনীতি এবং বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার ডাক দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নয়াদিল্লিতে আজ শুরু হওয়া বিমস্টেকভূক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে তিনি বক্তৃতা দেন। মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী অথবা সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন এই আলোচনায়। বৈঠক চলবে কালও।

Advertisement

পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষবৈঠকও করেছেন জয়শঙ্কর। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থকে মজবুত করা নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, আলোচনায় উঠেছিল তিস্তা প্রসঙ্গও। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে স্থির হয়েছিল, বাংলাদেশের দিকে তিস্তায় জলসঞ্চয়ের জন্য একটি মহাপ্রকল্পে সহায়তা করবে ভারত। শীঘ্রই পাঠানো হবে ভারতের কারিগরি প্রতিনিধি দল। আজ হাছানের সঙ্গে বৈঠকে সেই দল দ্রুত পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে নিত্যপণ্য রফতানি যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা নিয়েও কথা হয়েছে দুই পক্ষের। পাশাপাশি মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী থান সুই-এর সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়া নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন থান সুই।

উল্লেখ্য, ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন’ (বিমস্টেক) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। যার মূল লক্ষ্য, এই এলাকার দেশগুলির মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরো অনেকগুলি ক্ষেত্র বিমস্টেক-এর আওতাভুক্ত।

Advertisement

আজ সম্মেলনের উদ্বোধন করে জয়শঙ্কর গত বছর জুলাই মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘তার পরে অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে এবং বিমস্টেকের সক্রিয়তা আরও বিস্তৃত করার সময় এসেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement