Gopal Kanda

গেরুয়া শিবিরকে ভরসা দিচ্ছেন ‘কিংমেকার’ গোপাল কান্ডা, কটাক্ষ কংগ্রেসের

বৃহস্পতিবার সন্ধেতেই দিল্লির যাওয়ার বিশেষ বিমান ধরেছিলেন হরিয়ানা লোকহিত দলের প্রধান। তবে বিজেপির হাত ধরছেনই সে কথা তিনি স্পষ্ট করে বললেনি তখনও। বিমানে ওঠার আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘যে দল সিরসার (গোপাল কাণ্ডার কেন্দ্র) উন্নয়ের স্বার্থে কাজ করবে, হাত ধরব তাদেরই।’’ গোপাল কান্ডার ভাই  গোবিন্দ অবশ্য সরাসরিই সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, ‘‘অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে। নির্দলদের নিয়ে সরকার হয়ে যাবে।’’

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৩
Share:

বিশেষ বিমানে দিল্লি যাওয়ার পথে গোপাল কান্ডা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

বিমানসেবিকা গীতিকা শর্মার আত্মহত্যা হোক বা হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলা, যখনই বিপাকে পড়েছেন তিনি, তাঁকে তীব্র ভাবে বিঁধেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু হরিয়ানায় বিধানসভার ভোটগণনার শেষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে আপাতত তাঁরই দ্বারস্থ বিজেপি। হরিয়ানায় বিজেপি সরকার গড়তে যে ছয় বিধায়কের সাহায্য পেতে মরিয়া তাঁদের অন্যতম ‘কিংমেকার’ গোপাল কান্ডা।

Advertisement

লোকহিত দলের প্রধানও অবশ্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন গেরুয়া শিবিরকে সাহায্য করার জন্যে। অথচ অতীতে তাঁর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলের। এই নতুন সমীকরণকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা এদিন বলেন, ‘‘যারা নৈতিকতা অনৈতিকতার ধার ধারে না সরকার গড়তে তাঁদের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে বিজেপি-কে। ‌সংবাদমাধ্যমকে গোপাল অবশ্য নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দিতে চাইছেন।’’ তাঁর কথায়: ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই হরিয়ানা উন্নয়নের দিশা পাবে। তাই সব নির্দল বিধায়কই নি:শর্তে তাঁর হাত ধরতে চলেছেন।’’ গোপাল কান্ডা এবং সাত নির্দল বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে জন্যে এদিন সকালে দিল্লিতে পৌঁছেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও।

বৃহস্পতিবার সন্ধেতেই দিল্লির যাওয়ার বিশেষ বিমান ধরেছিলেন হরিয়ানা লোকহিত দলের প্রধান। তবে বিজেপির হাত ধরছেনই সে কথা তিনি স্পষ্ট করে বললেনি তখনও। বিমানে ওঠার আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘যে দল সিরসার (গোপাল কাণ্ডার কেন্দ্র) উন্নয়ের স্বার্থে কাজ করবে, হাত ধরব তাদেরই।’’ গোপাল কান্ডার ভাই গোবিন্দ অবশ্য সরাসরিই সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, ‘‘অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে। নির্দলদের নিয়ে সরকার হয়ে যাবে।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত অমিত শাহর বাসভবনে বিজেপি শীর্ষনেতাদের সঙ্গে কথা চলে গোপাল কান্ডা ও অন্যান্য নির্দল বিধায়কদের। যা নিয়ে বিরোধিরা কটাক্ষ করে বলে, ‘‘ধনতেরাসের আগে বিধায়ক কিনছে বিজেপি।’’

আরও পড়ুন:৫৬টি আসনে জয় নিশ্চিত করে, আদিত্য ঠাকরের জন্য কুর্সির আধখানা চাইছেন উদ্ধব
আরও পড়ুন:এক্সক্লুসিভ অভিজিৎ: পণ্ডিতরা যখন দৈববাণী করেন, তখন সেটা বেশি বিপজ্জনক

৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪৬টি আসন পেলে নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতায় পৌঁছনো যায়। বিজেপি ২০১৪ সালে ৪৭টি আসনে জিতেছিল। এবার ৭৫ পার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোলেও শেষরক্ষা হয়নি। পাওয়া গিয়েছে মোট ৪০টি আসন। এই অবস্থায় সরকার গড়তে ছ’জনের সমর্থন চাই। সেক্ষেত্রে দুটি পথ খোলা বিজেপির জন্যে। হরিয়ানায় আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়া দুষ্যন্ত চৌটালা পেয়েছেন দশটি আসন। চৌটলা সাহায্য করলে বিজেপি চিন্তামুক্ত হয় কিন্তু এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি তিনি। তাই ভাঙাচোরা অব্থায় নির্দলদের কাছে টানার প্রক্রিয়াই এখন গেরুয়া শিবিরের ভরসা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement