—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানে ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত হরিয়ানা সরকারের আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে হরিয়ানা সরকার। এমনই জানিয়ে দিলেন হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা। শনিবার চণ্ডীগঢ়ে একটি অনুষ্ঠানের শেষে হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা হাই কোর্টের নির্দেশাবলী দেখে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, হরিয়ানা সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে রাজ্য তথা শিল্পক্ষেত্রেরই মঙ্গল।
বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানে ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ আইন আনে মনোহরলাল খট্টরের সরকার। সংরক্ষণ ‘নীতি’তে বলা হয়, মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকার কম এমন বেসরকারি কাজে যাঁদের বাসস্থান সংক্রান্ত শংসাপত্র রয়েছে অর্থাৎ, যাঁরা হরিয়ানা রাজ্যের বাসিন্দা তাঁদের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। ১০ বছরের জন্য এই আইন জারির কথা বলা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় একাধিক কোম্পানি, সোসাইটি, ট্রাস্ট এবং অংশীদারি ফার্ম রয়েছে। রাজনৈতিক মতে, জাঠ সম্প্রদায়ের দিকে নজর দিয়েই কাজের ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণ আনে হরিয়ানা সরকার। কিন্তু শুক্রবার বিচারপতি জিএস সন্ধ্যাওয়ালিয়া এবং বিচারপতি হরপ্রীত কৌর জীওয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ এই আইন খারিজের নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, একাধিক শিল্প সংস্থা এই সংরক্ষণ আইনের বিরুদ্ধে মামলা করে। গুরুগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসোসিয়েশনও এই আইনের বিরোধিতায় আদালতে আবেদন করে। শিল্প সংস্থাগুলি আদালতে যুক্তি দেয়, ওই আইন কার্যকর হলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা থাকছে। কারণ, এই আইন কার্যকর হলে শিল্পে শ্রমিকদের ঘাটতি দেখা দেবে। প্রতিযোগিতাতেও ক্রমশ পিছিয়ে পড়বে হরিয়ানার শিল্প সংস্থা। অন্য দিকে, হরিয়ানা সরকার দাবি করে, ভৌগোলিক দিক থেকে যারা হরিয়ানায় বাস করেন, তাঁদের অধিকার যাতে সুরক্ষিত থাকে, এই আইনের মাধ্যমে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্য, বেঁচে থাকার অধিকার, কাজের অধিকারকে সুরক্ষিত করা হয়েছে এই নয়া আইনে।