National News

মুখ্যমন্ত্রী খট্টরকে দিল্লিতে তলব অমিতের, ইস্তফা দিতে চাইলেন হরিয়ানার বিজেপি প্রধান

৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত ভোটগণনায় শাসকদল বিজেপির সঙ্গে প্রায় সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে কংগ্রেস। ফলে, সরকার গড়ার জন্য কংগ্রেসের তৎপরপতাও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:২২
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের ফলাফলে দৃশ্যতই হতাশ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করে দিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন বিজেপি সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইস্তফা দিতে চাইলেন হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি সুভাষ বরালা।

Advertisement

৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত ভোটগণনায় শাসকদল বিজেপির সঙ্গে প্রায় সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে কংগ্রেস। ফলে, সরকার গড়ার জন্য কংগ্রেসের তৎপরপতাও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। ইতিমধ্যেই দুষ্যন্ত চৌটালার দল জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে কংগ্রেস। ফের সরকার গড়ার মরিয়া চেষ্টায় বন্ধু অকালি দলের মাধ্যমে জেজেপির সঙ্গে রফার চেষ্টা চালাচ্ছে শাসকদল বিজেপি।

ভোটের আগে বিজেপির বহু নেতাকেই বুক ফুলিয়ে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘এ বার ৭৫টি আসন পাচ্ছি আমরা।’’ ভোটগণনায় ইঙ্গিত, সেই লক্ষ্য দূর অস্তই। বহু মন্ত্রী বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন কংগ্রেস ও জেজেপি প্রার্থীদের চেয়ে। বিজেপির সহ-সভাপতি বিনয় সহর্ষবুদ্ধে বলেছেন, ‘‘কেন আমরা লক্ষ্য থেকে এতটা পিছিয়ে পড়লাম, তার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করব আমরা।’’

Advertisement

আরও পড়ুন- যে মুখ্যমন্ত্রী করবে, তাকেই সমর্থন, হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কুর ইঙ্গিত মিলতেই ঘোষণা দুষ্যন্ত চৌটালার​

আরও পড়ুন- অর্থনীতির ভাল চাইলে বিরুদ্ধ স্বরকেও গুরুত্ব দিতে হবে, পরামর্শ রাজনের​

হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের বিজেপির পক্ষে অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে আরও একটা কারণে। ভোটগ্রহণের আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে হরিয়ানায় গিয়ে দফায় দফায় প্রচার চালিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হরিয়ানায় এ বার সাতটি জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেগুলি মূলত করেছিলেন হরিয়ানার জাঠ অধ্যুষিত এলাকায়। যে হরিয়ানায় ভোটে জাঠরাই বরাবর নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে উঠেছে।

বিজেপি তাকিয়ে রয়েছে এখন অকালি দল প্রধান প্রকাশ সিংহ বাদলের দিকে। বাদলই বিজেপি, অকালি দল এবং জেজেপিকে নিয়ে নির্বাচনী সমঝোতা গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ভোটের আগে। সেই বাদলই জেজেপি নেতা দুষ্যন্ত চৌটালাকে কংগ্রেসের কাছ থেকে সরিয়ে এনে বিজেপির দিকে আনতে পারেন কি না, বিজেপি নেতৃত্ব এখন তারই অপেক্ষায়।

তবে বিজেপি যে হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্যে শাসকদলের মুখপাত্র নবীন কুমারের মন্তব্যে। নবীন বলেছেন, ‘‘এখনও তো চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়নি। তবে এ বার না হলে ২০২৪-এ আমরা ৭৫টি আসন পাবই পাব হরিয়ানায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement