হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। ফাইল চিত্র।
পাখির চোখ বিহারের গদি!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’দফায় বিহারের জন্য একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করে ফেলেছেন। মঙ্গলবার তিনি বিহারের নগরোন্নয়নের আরও ৭টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন দিল্লি থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে। তার আগে সোমবার রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে জেডি-ইউ সাংসদ হরিবংশের জয়ের পরও প্রধানমন্ত্রী বিহারের জয়গান গাইলেন। হরিবংশকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’-এ বিহারের ভূমিকার উল্লেখ করে জয়প্রকাশ নারায়ণ ও কর্পূরী ঠাকুরকেও স্মরণ করলেন। বিরোধী দলের নেতাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বিহারি আবেগ উস্কে দেওয়ার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করতে নারাজ।
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন এমনিতেই বিহার ভোটের ক্ষুদ্র সংস্করণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এনডিএ জোট ফের জেডি-ইউ সাংসদ হরিবংশকে প্রার্থী করেছিল। বিরোধী জোট প্রার্থী করেছিল আরজেডি-র মনোজ কুমার ঝা-কে। সংখ্যার জোরে এনডিএ প্রার্থী জিতে যাবেন এবং বিজেপি তার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে বুঝেই তৃণমূল আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। সোমবার রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটেই হরিবংশ জিতে যান। ডেরেক ও’ব্রায়েন, অর্পিতা ঘোষরা ধ্বনি ভোটে কোনও পক্ষেই সাড়া দেননি।
হরিবংশের নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উনি বিহার থেকে এসেছেন, যে বিহার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য পরিচিত। বিহার জেপি ও কর্পূরী ঠাকুরের ভূমি, বাপুর চম্পারণের ভূমি।’’ দু’বছর আগে হরিবংশ কংগ্রেসের বি কে হরিপ্রসাদকে ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে হারিয়েছিলেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী বি কে-কে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু এ দিন তিনি মনোজ ঝা-কে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য মেনে নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য
অভিনন্দন জানিয়েছেন।