হার্দিক পটেল। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন গুজরাতের পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল। দলের অন্দরে তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে হার্দিকের মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের আমার অবস্থা অনেকটা সদ্য বিবাহিত সেই যুবকের মতো, যাঁকে জোর করে নাসবন্দি করানো হয়েছে!’’
নিজের দলের সমালোচনার পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ক্ষমতাসীন বিজেপি-র প্রশংসা করেছেন হার্দিক। সম্প্রতি পাতিদার সমাজের প্রভাবশালী নেতা নরেশ পটেল কংগ্রেস যোগদান করতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এখনও তা নিয়ে দলের অন্দরে টানাপড়েন চলছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে হার্দিকের মন্তব্য, ‘‘২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে পাতিদার সমাজ কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেই সমাজের নেতার প্রতি কংগ্রেস নেতৃত্বের এমন আচরণ কাম্য নয়।’’
২০১৫ সালে পাতিদার আন্দোলনে অশান্তির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন হার্দিক। চলতি সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। হার্দিক জানিয়েছেন, চলতি বছরে গুজরাত বিধানসভা ভোটে তিনি প্রার্থী হবেন। হার্দিকের কংগ্রেস ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে হার্দিকের পাশাপাশি গুজরাত রাজনীতির দুই ‘অ্যাংগ্রি ইয়ং ম্যান’, অনগ্রসর নেতা অল্পেশ ঠাকুর এবং দলিত আন্দোলনের মুখ জিগ্নেশ মেবাণীকে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অল্পেশ কংগ্রেসের টিকিটে এবং জিগ্নেশ কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল হিসেবে বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি-তে শামিল হন অল্পেশ।
হার্দিক বয়সের কারণে ভোটে প্রার্থী হতে পারেননি। আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর তাঁর গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও বেশ কিছু দিন ধরেই গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি র ইঙ্গিত মিলছিল।