মৃত নিট পরীক্ষার্থী এবং তাঁর বাবা (ডান দিকে)।
এক বার নয়, পর পর দু’বার নিট পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় চেন্নাইয়ে ঘর থেকে উদ্ধার হল এক তরুণের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম জগদীশ্বরন। পুলিশ জানিয়েছে, বছর ঊনিশের এই তরুণকে ক্রোমপেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছিলেন বাবা সেলভাশেখর। গত ১২ অগস্ট জগদীশ্বরনের দেহ উদ্ধার হওয়ার দু’দিন পর অর্থাৎ ১৪ অগস্ট তাঁর বাবার দেহও উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, পুত্রের মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
জগদীশ্বরনের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, নিট পরীক্ষায় প্রথম বার পাশ করতে পারেননি তিনি। তা নিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে তাঁকে বার করে আনেন বাবা সেলভাশেখর। পরিবারের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা পেয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আবার নিট পরীক্ষায় বসেন জগদীশ্বরন। কিন্তু এ বারের ব্যর্থতা আর সহ্য করতে পারেননি তিনি। তার পরই জগদীশ্বরনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুত্রের মৃত্যুতে মুহ্যমান সেলভাশেখর নিট প্রশাসনকে তাঁর পুত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদেরও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেলভাশেখর। কিন্তু সোমবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জগদীশ্বরন এবং সেলভাশেখরের দেহ যে ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেখানে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে পুত্রশোকেই মৃত্যু, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।