প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক পয়সা কম থাকায় গ্রাহকের ১০ হাজার টাকা হাতাতে পারল না হ্যাকাররা। ঘটনাটি গ্রেটার নয়ডার দারিন গ্রামের।
পুলিশ জানিয়েছে, দারিন গ্রামের বাসিন্দা সুনীল কুমার গত ২ জুন তাঁর এক আত্মীয়র অ্যাকাউন্টে ২২ হাজার টাকা পাঠাতে গিয়ে ভুল করে অন্য এক জনের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেন। ভুল বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনও রকম সহযোগিতা পাননি বলে সুনীলের দাবি। তার পরই তিনি বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে ট্যাগ করে।
এই লেনদেনের বিষয়টি হ্যাকারদের নজরে পড়তেই তৎপর হয়ে ওঠে তারা। টুইট করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সুনীলের কাছে একটি ফোন আসে। তাঁকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন ফোনের ও পারের ব্যক্তি। সুনীলকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সুনীল তখনও বুঝতে পারেননি তিনি হ্যাকারদের খপ্পরে পড়েছেন। তাই তাঁদের কথামতো অ্যাপ ডাউনলোড করতেই হ্যাকারদের কাছে সুনীলের ব্যাঙ্কের পুরো তথ্য চলে যায়। এর পর সুনীলের কাছে আবার ফোন আসে। কথা বলতে বলতেই সুনীলের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক সেই মুহূর্তেই সুনীলের কাছে এসএমএস ঢোকে যে, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা ৯৯ পয়সা রয়েছে। অতএব লেনদেন সম্ভব নয়।
এই বার্তা পেয়ে সুনীল অবাক হয়ে যান। তিনি তো টাকা তুলছেন না, তা হলে এই মেসেজ এল কেন? তখনই বুঝতে পারেন কোথাও একটা গড়বড় হয়েছে। বুঝতে পারেন তিনি হ্যাকারদের কবলে পড়েছেন। হ্যাকাররা তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০ হাজারের থেকে এক পয়সা কম ছিল। আর তাতেই হ্যাকাররা সেই টাকা হাতাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এক পয়সার যে কত গুরুত্ব সুনীলের ঘটনাই বলে দিচ্ছে।