—প্রতীকী ছবি।
অসম-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়ন, বাণিজ্য বিস্তার সংক্রান্ত বহু সমাবেশ-আলোচনা সভার পরেও দ্বিতীয় বার চালু হয়নি গুয়াহাটি-ঢাকার সরাসরি বিমান। অবশেষে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ও গুয়াহাটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সরাসরি বিমান চলাচল ফের শুরু করার চাপ বাড়ায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে হয় গুয়াহাটি থেকে আগরতলা বিমানবন্দর পৌঁছে সেখান থেকে স্থল সীমান্ত পার করে ব্রাহ্মণবেড়িয়া। তার পর হাজার ছয়েক টাকা খরচ করে ঢাকা যেতে হয়। না হলে কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়ে সেখান থেকে ঢাকার বিমান ধরা। না হলে দাউকি বা করিমগঞ্জ স্থলসীমান্ত দিয়ে ঢুকতে হবে বাংলাদেশে। সেখান থেকেও ঢাকা বহু দূর। অথচ এই দিনভর যাত্রা, পরিশ্রম, অতিরিক্ত টাকা খরচের বদলে সরাসরি বিমানে মাত্র আধ ঘণ্টাতেই গুয়াহাটি থেকে ঢাকা পৌঁছানো যায়।
মমমম ফেরার পথে যাত্রী মিলছিল আরও কম। তাই দৈনিক প্রথমে সপ্তাহে দুবারে নামিয়ে আনা হয়। পরে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তারও আগে, ২০১৪ সালে গুয়াহাটি-ঢাকা বাস পরিষেবার উদ্বোধন করা হলেও দূরদৃষ্টির অভাব, ভুল নীতি ও উপযুক্ত সড়কের অভাবে সেই পরিষেবা কখনও চালুই হয়নি।
গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন বলেন, পরিস্থিতি এখন বদলেছে। কারণ এখন প্রতি সপ্তাহে অসম থেকে অন্তত ৬৫০ জন বাংলাদেশে যাচ্ছেন। দিনে গড়ে ১০০টি ভিসা ইস্যু করছে গুয়াহাটি ভিসা অফিস। তাই বোঝাই যাচ্ছে এখন যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে সরাসরি উড়ান চালু হলে দুই তরফে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি ও ৭২টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আসন রয়েছে এবং বিদেশি ছাত্রদের জন্য প্রচুর কোটা রয়েছে। ৫ বছর ডাক্তারি পড়ার খরচও মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা। তাই সেখানে উত্তর-পূর্ব থেকে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে অসম ও উত্তর-পূর্ব থেকে অন্তত চারশো শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছেন। গত এক বছরে সংখ্যাটা শতাধিক। তাঁদের দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সরাসরি উড়ান খুবই সাহায্য করবে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়ছেন।