ঢাকায় বিমানের ভিতরে অপেক্ষায় যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত।
ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল। ফলে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামতে পারল না ইন্ডিগোর যাত্রিবাহী বিমান। শেষমেশ ভোর ৪টের সময় বিমানটিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ঢাকায়। সেখানেই জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করানো হয়।
মুম্বই থেকে ইন্ডিগোর ৬ই ৫৩১৯ বিমানটি গুয়াহাটিতে আসছিল। বিমানে ১৭৮ জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা এতটাই নেমে গিয়েছিল যে পাইলট বিমানটিকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামাতে পারেননি। বেশ কিছু ক্ষণ আকাশে চক্কর কাটার পর বিমানটিকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার ভোর ৪টের সময় বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়। তবে সমস্যার এখানেই শেষ নয়। যাত্রীদের অভিযোগ, অবতরণ করানোর পর বিমানের ভিতরেই তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়।
তাঁদের জন্য কোনও রকম ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রীদের অনেকেই এক্স হ্যান্ডলে তাঁদের হতাশা এবং ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিমান সংস্থার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনার পর পরই ইন্ডিগো বিবৃতি জারি করে। তারা বলে, “মুম্বই থেকে গুয়াহাটিগামী ৬ই ৫৩১৯ বিমানটি কুয়াশার জেরে নামতে পারেনি। ফলে সেটিকে ঢাকা অবতরণ করানো হয়েছে। বিমানটিকে ঢাকা থেকে আবার গুয়াহাটিতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীদের প্রতি মুহূর্তের আপডেট দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া তাঁদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই অসুবিধার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত।”
মুম্বইয়ের যুব কংগ্রেসের প্রধান সুরজ সিংহ ঠাকুর ওই বিমানে ছিলেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, “মুম্বই থেকে গুয়াহাটিগামী ইন্ডিগোর ৬ই ৫৩১৯ বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু কুয়াশার কারণে গুয়াহাটিতে সেটি নামতে পারেনি। পরিবর্তে ঢাকায় নামানো হয়েছে। ৯ ঘণ্টা ধরে বিমানের ভিতরে আমরা অপেক্ষা করছি।”