প্রতীকী ছবি।
বান্ধবীর পাশে দাঁড়িয়ে ধর্ষক বাবার শাস্তি চাইলেন কিশোরী। বাবার নির্যাতনের শিকার ওই বান্ধবীর পাশে দাঁড়িয়েছেন ওই কিশোরীর মা-ও। নির্যাতিতা এবং ওই কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতেই আপাতত শ্রীঘরে পেশায় ব্যবসায়ী গুরুগ্রামের ওই ব্যক্তি। গত শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুরুগ্রাম পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের বেলাইরে।
ওই কিশোরী বেলাইরের একটি ফ্ল্যাটে বাবা-মার সঙ্গে থাকেন। নির্যাতিতা তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু। তৃতীয় শ্রেণি থেকেই ওই কিশোরীর বাড়িতে যাতায়াত তাঁর। এমনকী, ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কিশোরীর বাবাকেও নির্যাতিতা আঙ্কল সম্বোধন করতেন। নির্যাতিতার বয়স বর্তমানে ১৮ বছর। আইনের ছাত্রী তিনি।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানান, বৃহস্পতিবার তিনি বেলাইরে ছোটবেলার বন্ধুর বাড়িতে যান। তখন বন্ধুর মা বাড়িতে ছিলেন না। আঙ্কলই তাঁদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় একটি সাইবার হাবে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে তাঁদের দু’জনকেই মদ্যপান করান তিনি। তারপর গভীর রাতে বাড়ি ফিরে বন্ধুর ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন নির্যাতিতা। ভোর রাতে আঙ্কল তাঁদের ঘরে ঢোকেন। তাঁকে হাত ধরে পাশের ঘরে নিয়ে যান এবং ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। নির্যাতিতা জানান, মদ্যপানের ঘোর তখনও কাটেনি তাঁর। তাই সে ভাবে প্রতিরোধও করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলায় জামিন পেয়েও বিয়ে পণ্ড মিঠুনের ছেলের
এর পর বন্ধুকে ঘুম থেকে তুলে সবটা জানান তিনি। বাবার এরকম কীর্তি শুনে প্রথমে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন ওই কিশোরী। কিছু পরে ওই কিশোরীর নির্যাতিতাতে নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পড়েন। নির্যাতিতার বাড়িতে যান এবং নির্যাতিতার মাকে সবটা জানান। তারপর সেখান থেকে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে বয়ান দেন ওই কিশোরীও। ওই দিনই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নির্যাতিতার বাবা একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসা সূত্রে তিনি রাজস্থানে রয়েছেন। এই খবর শোনার পর তিনিও বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির জন্য তিনি বড় আইনজীবীকে নিযুক্ত করতে চান এই মামলায়।