Gurmeet Ram Rahim Singh

ভোট বালাই! প্যারোলে মুক্ত ধর্ষণ ও খুনে দোষী রাম রহিম, আশীর্বাদ নিতে বিজেপি নেতারা

হরিয়ানায় আদমপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন ৩ নভেম্বর, সঙ্গে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনও। হিমাচলের বিধানসভা ভোট আগামী ১২ নভেম্বর। গুরমিত জেলে ফিরবেন তার পরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৫৫
Share:

গুরমিত রাম রহিম ফের প্যারোলে মুক্ত। ফাইল চিত্র।

হরিয়ানায় উপনির্বাচন এবং হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহকে প্যারোলে ৪০ দিনের জন্য মুক্তি দিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। আর তার পরেই অনলাইনে ‘সৎসঙ্গ’ শুরু করেছেন তিনি। সেই ধর্মীয় কর্মসূচিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত গুরমিতের কাছে আশীর্বাদ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিয়ানার করনালের বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় ভাটিয়া, করনাল পুরসভার মেয়র রেণুবালা গুপ্ত এবং ডেপুটি মেয়র নবীন কুমারের বিরুদ্ধে!

Advertisement

গুরমিতের ‘সৎসঙ্গে’ রেণুবালা এবং নবীনের যোগ দেওয়ার ভিডিয়োও প্রচারিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। গত ফেব্রুয়ারিতে পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের আগেও বিতর্কিত এই ধর্মগুরু গুরমিতকে ২১ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। সে সময় ঘটনার নেপথ্যে রাজনীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২০০২ সালে নিজের ম্যানেজারকে খুন, এক সাংবাদিককে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত গুরমিতের বহু ভক্ত রয়েছেন হরিয়ানা এবং হিমাচলে। তাঁদের ভোট পেতেই এই উদ্যোগ বলে অভিযোগ।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সরকার অবশ্য দাবি করেছেন, এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। সরকারের যুক্তি, জেলে তিন বছর কাটানোর পর যে কোনও বন্দি সাময়িক মুক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই মতো রাম রহিমের আবেদনের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই প্যারোলে ৪০ দিনের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হরিয়ানায় আদমপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন ৩ নভেম্বর, সঙ্গে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনও। হিমাচলের বিধানসভা ভোট আগামী ১২ নভেম্বর। গুরমিত জেলে ফিরবেন তার পরে।

Advertisement

হরিয়ানার সিরসায় ডেরা সচ্চা সৌদার মূল আশ্রমটি অবস্থিত। তবে পঞ্জাব ও হরিয়ানার পাশাপাশি হিমাচলেও গুরমিতের অনেক ভক্ত রয়েছেন। তাঁরা ধর্মগুরুর নির্দেশেই ভোট দেন বলে রাজনৈতিক শিবিরে ধারণা রয়েছে। আগে ডেরা ভক্তরা কংগ্রেসের কাছাকাছি ছিলেন। ২০০৭ সালে পঞ্জাবের ভোটে কংগ্রেসকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থনও করেছিলেন ডেরার সমর্থকেরা। ২০১৭-য় বিজেপি-অকালি জোটকে সমর্থন করে ডেরা। কিন্তু ভোটে তেমন সুবিধা করতে পারেনি এই জোট। যেমন চলতি বছরে পঞ্জাবের ভোটে ডেরার সমর্থন পেয়েও ভরাডুবি হয়েছিল পদ্ম-শিবিরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement