গুরুগ্রামের এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘর থেকে স্বাস্থ্যকর্মীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছাপান্নর রাজবন্তী সকালে ঘুম থেকে অনেক ক্ষণ না ওঠায় তাঁকে ডাকাডাকি করা হয়। কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তাঁর ঘরে ঢুকে দেখা যায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিছানায়। তড়িঘড়ি তাঁকে মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাচক্রে, গত শনিবার কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছিলেন রাজবন্তী। তার পরে এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। পরিবারের দাবি, টিকা নেওয়ার পর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি তাঁর। তা হলে কি টিকার কারণে মৃত্যু হয়েছে, উঠছে প্রশ্ন। তবে রাজবন্তীর পরিবার তা মানতে নারাজ। কারণ টিকা নেওয়ার পর সুস্থই ছিলেন রাজবন্তী।
গুরুগ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক বীরেন্দ্র যাদবও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “রাজবন্তীর মৃত্যু কী ভাবে হল তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ কী। তবে টিকার কারণেই যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই দাবি করা ঠিক নয়।”
গত ১৬ জানুয়ারি দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকাকে এই কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হচ্ছে। তিন কোটি স্বস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয় সামনে এলেও, এখনও পর্যন্ত টিকার কারণে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি দেশে।