—ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময়। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার এক জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গিরও। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্য আর এক জঙ্গি। এখনও দু’পক্ষের মধ্যে গুলিবৃষ্টি চলছে। কাশ্মীর
উপত্যকার ডোডা এলাকায় হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পায় ভারতীয় সেনা। সেই মতো রাতেই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। রাতভর তল্লাশির পর রবিবার সাকলে ওই এলাকার একটি বাড়িতে জঙ্গিদের হদিশ মেলে।
কিন্তু ভারতীয় জওয়ানরা ওই বাড়ির কাছে পৌঁছতেই এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি করতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরাও। দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলাকালীন এক জওয়ান প্রাণ হারান। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় এক জঙ্গিরও। গুলিবিদ্ধ হয় অন্য এক জঙ্গি।
আরও পড়ুন: দেশের সর্বক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: পানীয় জলের গাড়ি ঢুকতেই হাতাহাতি, বিহারের কোয়রান্টিন সেন্টারে ধুন্ধুমার
ঠিক কত জন জঙ্গি সেখানে লুকিয়ে রয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে অওকফ নামে মধ্যে এক জঙ্গিকে শনাক্ত করা গিয়েছে। নিহত হিজবুল জঙ্গি হারুন আব্বাস ওয়ানির সহযোগী সে। জঙ্গিদের সঙ্গে এখনও গুলির লড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন উপত্যকা পুলিশের মুখপাত্র তথা এএসপি মনোজ শিরি।
গত বছর অগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকে এত দিন কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছিল গোটা উপত্যকা। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে গোটা দেশ যখন বিপর্যস্ত, ঠিক সেইসময় উপত্যকায় নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গিরা। ডোডা, কিস্তোয়ার এবং রামবন-সহ একাধিক এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে ফের নাশকতামূলক কাজকর্ম শুরু হয়েছে।
এর আগে, গত ৭ মে সেনার সঙ্গে গুলিতে মৃত্যু হয় উপত্যকায় হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান রিয়াজ নাইকুর। তার পর দিন এই ডোডা জেলা থেকেই হিজবুলের এক চরকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনী। তাকে ২২ বছরের ওই যুবকের নাম রাকিব আলম। স্বান্দা গ্রামের সিরাজ দিন নামের এক বাসিন্দার ছেলে সে।
তারও আগে, গত ১৭ এপ্রিল নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে প্রাণ হারায় হিজবুল মুজাহিদিনের দুই সদস্য। ১৩ এপ্রিল কিস্তোয়ারে এক পুলিশ কর্মীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল তারা।
এর পাশাপাশি, বিজেপি নেতা অনিল পরিহার ও তাঁর ভাই অজিত পরিহারকে খুনের দায়ে শুক্রবার হিজবুলের তিন নিহত ও তিন ধৃত জঙ্গির বিরুদ্দে চার্জশিট জমা দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)। ২০১৮-র ১ নভেম্বর কিস্তোয়ারে বাড়ির সামনে খুন হন অনিল ও অজিত পরিহার।