POCSO Case

পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের মাঝে স্কুলের প্রাক্তনীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত খোদ প্রিন্সিপাল! খুঁজছে গুজরাত পুলিশ

স্কুলের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ গুজরাতের এক স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১৫
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গুজরাতের ভারুচে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। ওই নাবালিকা স্কুলের প্রাক্তনী। গত মাসে স্কুলের প্রাক্তনীদের একটি পুনর্মিলন অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানের মাঝেই স্কুলের প্রিন্সিপাল কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের খোঁজে অভিযান শুরু হয়েছে।

Advertisement

নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, সে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়েও প্রিন্সিপাল তাকে যৌন নিগ্রহ করেছিলেন। সেটি ২০২১-২২ সালের ঘটনা। সেই সময় ভয় দেখিয়ে প্রিন্সিপাল তার মুখ বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন। তাই ওই ঘটনার কথা কিশোরী কাউকে জানাতে পারেনি। এ বার স্কুলের প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানের মাঝে ফের ওই প্রিন্সিপাল তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে বাড়িতে জানায় নাবালিকা। সম্প্রতি মেয়ের মুখে সে কথা জানার পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান অভিভাবকেরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। ধর্ষণ, নিগ্রহের মামলা-সহ পকসো আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১ ডিসেম্বর। সে দিন স্কুলের মধ্যেই প্রাক্তনীদের একটি পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বারও প্রিন্সিপালের হাতে নির্যাতিত হওয়ার পর প্রথমে ওই অত্যাচারের কথা বাড়িতে বলতে পারেনি কিশোরী। কয়েক দিন আগে বাবা-মায়ের কাছে প্রিন্সিপালের কুকর্মের কথা জানায় সে। স্থানীয় থানার পাশাপাশি জেলা পুলিশের মানবপাচার দমন শাখাও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নির্যাতিতার বয়ান সংগ্রহ এবং স্কুলে সে দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাকিদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement