আম আদমি পার্টির সমাবেশে দলীয় প্রতীক-সহ টুপি মাথায় বক্তৃতা। —ফাইল চিত্র।
গুজরাতে ভুয়ো ইডি হানার নেপথ্যে যোগ রয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)-র এক কর্মীর। শনিবার এ কথা জানিয়েছে গুজরাত পুলিশ। গত ২ ডিসেম্বর গুজরাতের গান্ধীধাম এলাকায় ভুয়ো ই়ডি হানা চালিয়ে ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকার গহনা চুরি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার দু’দিন পরেই ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম আব্দুল সাত্তার মাজোতি। পুলিশের দাবি, এই আব্দুলই মূলচক্রী এবং তিনি আপের কর্মী। অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত টাকা তিনি দলীয় তহবিলে দিয়েছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। সে ক্ষেত্রে ওই অপরাধের টাকা কোন পথে ঘোরানো হয়েছে, সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
কচ্ছ (পূর্ব)-এর পুলিশ সুপার সাগর বাগমার জানিয়েছেন, ওই ঘটনার কয়েক মাস আগেই গুজরাতের আপ নেতা গোপাল ইতালিয়া এবং মনোজ সরোথিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিযুক্ত। ভুজ সার্কিট হাউসে তাঁদের বৈঠক হয়েছিল। পুলিশি জেরায় আব্দুল এ কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও ওই ঘটনার সঙ্গে আম আদমি পার্টির যোগের কথা অস্বীকার করেছেন ইতালিয়া। পুলিশ বিজেপি শাসিত সরকারের দলদাসের মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গুজরাতের আপ নেতা। ‘মিথ্যা অভিযোগে’ তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ ইতালিয়ার।
গত ২ ডিসেম্বর কচ্ছের একটি সোনার দোকানে ইডির আধিকারিক সেজে হানা দেয় একদল দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে আব্দুলকে মূলচক্রী বলে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে ওই লুটের টাকা কোথায় কোথায় ঘুরেছে, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছে গুজরাত পুলিশ। পুলিশ সুপার বাগমার জানিয়েছেন, এর আগেও অপরাধমূলক কাজকর্মে নাম জড়িয়েছে আব্দুলের। জামনগর এবং ভুজে তাঁর বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। ভুয়ো ইডি হানার তদন্তে প্রয়োজনে দলের অন্য কর্মীদের ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।