প্রতীকী ছবি।
পুলিশকর্মীদের কেউ ফুচকাওয়ালা, কেউ সব্জি বিক্রেতার বেশে ওত পেতে বসেছিলেন। নাগাল পেতেই চোরকে ধরে ফেললেন তাঁরা। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে এক কুখ্যাত চোরকে ধরতে এ ভাবেই ফাঁদ পেতেছিল গুজরাত পুলিশ। সফলও হয়েছে। সেই একই কায়দায় আবার ঝাড়খণ্ড থেকে এক খুনিকে গ্রেফতার করল সুরাত পুলিশ।
সুরাত পুলিশের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল ঝাড়খণ্ডে পরিচয় লুকিয়ে থাকছেন মহম্মদ উমর। ২১ বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন উমর। পুলিশও তাঁর কোনও হদিস পায়নি। সম্প্রতি সেই মামলাতেই পুলিশের কাছে খবর আসে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের ওয়াসেপুরে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকছেন উমর।
সেই সূত্রের খবর পেয়েই সুরাত পুলিশের একটি দল ওয়াসেপুর যায়। যে ব্যক্তির কথা তারা জানতে পেরেছে সেই ব্যক্তি উমর কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বেশ কয়েক দিন তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখে পুলিশ। নিশ্চিত হওয়ার পরই উমরকে ধরতে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সহযোগিতায় ফাঁদ পাতে পুলিশ। সুরাত পুলিশের কয়েক জন আধিকারিক অটোচালকের বেশে উমরকে ধরার জন্য জাল বিছায়। এক পুলিশ আধিকারিকের অটোতে উঠতেই উমরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশের দলটি। ২০০৩ সালে উমর এবং তাঁর বন্ধু দয়াশঙ্কর শিবচরণ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তিকে মদ্যপান করিয়ে খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ।
দু’দিন আগেও একই কায়দায় এক চোরকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে গ্রেফতার করেছিল আমদাবাদ পুলিশ। একটি বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা চুরি করে গোয়ালিয়রে পালিয়েছিল সে। সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চোরকে গ্রেফতার করে আমদাবাদ পুলিশ। চোরকে ধরতে পুলিশ আধিকারিকদের কেউ বেলুন বিক্রেতা, কেউ সব্জি বিক্রেতার বেশে ফাঁদ পেতেছিলেন।