নির্যাতিতা এত দেরি করে কেন থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। প্রতীকী ছবি।
স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনেই দৃষ্টি হারিয়েছেন। সাহায্যের জন্য মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাড়িতে যেতেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই কর্মী। বাড়িতে অন্ধ মহিলাকে একা পেয়ে পর পর দু’বার শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। গুজরাতের ভালসাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
গত বছর অগস্ট মাসের ঘটনা। ৪০ বছর বয়সি কানা ভাদার্কা এবং ৩৫ বছর বয়সি দিলীপ দাক্সানি গুজরাতের সোলসুম্বা গ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংস্থার তরফে অন্ধ ব্যক্তিদের খাবার ছাড়াও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দান করা হত। কানা এবং দিলীপ খাবার পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সি ওই মহিলার বাড়িতে। নির্যাতিতার অভিযোগ, পাখা সারাই করার অজুহাতে কানা ঘরের ভিতরেই থেকে গিয়েছিলেন।
কাজ রয়েছে বলে তাঁর স্বামীকে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ। নির্যাতিতার স্বামীও চোখে দেখতে পান না বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ওই মহিলাকে একা পেয়ে কানা তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার এক মাস পর আবার মহিলার বাড়িতে আসেন তাঁরা। বাড়িতে একা পেয়ে এ বার দিলীপও ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। চলতি বছরে ভালসাড় থানায় ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার উমরগাম গ্রাম থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। তবে মহিলা এত দেরি করে কেন অভিযোগ দায়ের করলেন তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।