ফাইল চিত্র
‘লভ জেহাদ’ রোখার যুক্তি দিয়ে রাজ্যে ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন পাশ করিয়েছে গুজরাতের বিজেপি সরকার। সেই আইনের যে ধারায় ধর্মান্তরণের কাজ করার আগে ধর্মগুরুদের জেলাশাসক বা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, সেই ৫ নম্বর ধারাটির উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে গুজরাত হাই কোর্ট। আর তাতেই ক্ষিপ্ত এই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র তথা আইনমন্ত্রী প্রদীপসিন জাডেজা। তাঁর সাফ কথা, এই ধারাটি বাদ গেলে আইন থাকা না-থাকা সমান। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় করছে রাজ্য সরকার।
জুনের ১৫ তারিখে ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন পাশ করায় গুজরাতের বিজেপি সরকার। এই আইনে বিবাহের উদ্দেশ্যে বা অন্য ভাবে কেউ নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইলে তার জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের যুক্তি— ধর্ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত ও ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় হওয়ায় ধর্মান্তরণ নিষিদ্ধ করা যায় না। তবে তার বৈধতা পাওয়ার পথে কাঁটা ছড়িয়ে এই প্রবণতা রোখা যেতে পারে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, হিন্দু তরুণীদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ের জন্য ধর্মান্তর করাটা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের জেহাদের অঙ্গ। সরকারি তথ্য এই অভিযোগকে স্বীকৃতি না দিলেও এই তথাকথিত ‘লভ জেহাদ’ আটকাতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারগুলি। গুজরাতে বিজয় রুপাণীর সরকারও ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন পাশ করায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাডেজা স্পষ্টই জানিয়েছেন, “এই আইন আসলে ‘লভ জেহাদ’-বিরোধী আইন। জেহাদি শক্তির কুনজর থেকে আমাদের (সংখ্যাগুরুদের) মেয়েদের রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে।” তাঁর যুক্তি, ৫ নম্বর ধারাটি বাদ গেলে আইনের উদ্দেশ্যটিই মাটি হয়ে যায়। তাই হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের বিরোধী তাঁরা। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যাবে তাঁদের সরকার।